পথের পাঁচালী ষোড়শ পরিচ্ছেদ গ্রামের অন্নদা রায় মহাশয় সম্প্রতি বড় বিপদে পডিয়াছেন। গ্রামে জরীপ আসাতে উত্তর মাঠে তাবু পিডিয়াছে। জরীপের কর্মচারী মাঠের মধ্যে নদীর ধারে আপিস খুলিয়াছেন, ছোটখাটো আমলাও সঙ্গে আসিয়াছে বিস্তর। গ্রামের সকল ভদ্রলোকেই কিছু জমিজমার মালিক, পিতৃপুরুষের অজিত এই সব সম্পত্তির নিরাপদ কুলে জীবনতরণীর লগি কাসিয়া পুতিয়া জড-পদার্থের ন্যায় উদ্যমহীন, গতিহীন নিক্রিয় অবস্থায় দিনগুলি একরূপ বেশই কাটিতেছিল, কিন্তু এবার সকলেই একটু বিপদগ্রস্ত হইয়া পডিয়াছেন। রাম হয়ত শ্যামের জমি নিবিবাদে নিজের বলিয়া ভোগ করিয়া আসিতেছে, যদু দশ বিঘাব খাজনায় বারো বিঘা নিরুপদ্রপে দখল করিতেছে, এতদিন যাহা পূর্ণ শান্তিতে নিম্পন্ন হইতেছিল, এইবার সে সকলের মধ্যে গোলমাল পৌছিল। বিপদ একরূপ সর্বজনীন হইলেও অন্নদা রায়েব বিপদ একটু অন্য ধরণের বা একটু বেশী গুরুতর। তঁহার এক জ্ঞাতি ভ্রাতা বহুদিন যাবৎ পশ্চিম-প্রবাসী । এতদিন তিনি উক্ত প্রবাসী জ্ঞাতিব আম-কঁঠালের বাগান ও জমি নির্বিঘ্নে ভোগ করিতেছিলেন এবং সম্পূর্ণ ভরসা ছিল জরীপের সময় পারিয়া উঠিলে সবই, অন্ততঃ পক্ষে কতকাংশ নিজের বলিয়া লিখাইয়া লইবেন, কিন্তু কি জানি গ্রামেব কে উক্ত প্রবাসী জ্ঞাতিকে কি পত্র লিখিয়াছেন—ফলে অন্য দিন-দশেক হইল জাতিভ্রাতার জ্যেষ্ঠপুত্রটি জরীপের সময় বিষয় সম্পত্তি দেখাশোনা করিতে আসিয়াছে । মুখের গ্রাস তো গেলই, তাহা ছাড়া বিপদ আরও আছে, ঐ আত্মীয়ের অংশের ঘবগুলিই বাড়ীর মধ্যে ভাল, রায় মহাশয় গত ত্রিশ বৎসর সেগুলি নিজে দখল করিয়া আসিতেছেন, সেগুলি ছাডিয়া দিতে হইয়াছে।--জ্ঞাতিপুত্রটি শৌধীন ধরণের কলেজের ছেলে, একখানিতে শোয়, একখানিতে পড়াশুনা করে-উপরের ঘরখানি হইতে লোহার সিন্দুক, বন্ধকী মাল, কাগজপত্রাদি সরাইয়া ফেলিতে হইয়াছে। নীচের ষে ঘরে পালিত-পাড়া হইতে সস্তাদরে কেনা করিবারগা রক্ষিত ছিল, সে ঘরও শীঘ্র ছাড়িয়া দিতে হইবে । বৈকালবেলা। অন্নদা রায়ের চণ্ডীমণ্ডপে পাড়ার কয়েকটি লোক আসিয়াছেন -এই সময়েই পাশা খেলার মজলিস বসে। কিন্তু অন্য এখনও কাজ মেটে DDS SBDD ssB BD L DLDDBSY D BBBL SS
