পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠ-টাট করি।--ত ছাড়া ভাগবৎ কি গীতাপাঠও প্রৌঢ় ভদ্রলোকটি ভাল করিয়া কথা না শুনিয়াই তঁাহার সময় অত্যন্ত মূল্যবান, বাজে কথা শুনিবার সময় নিতান্ত সংক্ষেপ জানাইয়া দিবার ভাবে হরিহর মবিয়া ভাবে বলিল-আজ্ঞে নতুন শহরে এসেচি, একেবারে কিছু হাতে নেই-বড় বিপদে পড়িচি, কদিন ধ’রে কেবলই প্রৌঢ় লোকটি তাড়াতাডি বিদায় করিবার ভঙ্গীতে ঠেস দেওয়ার তাকিয়াটা উঠাইয়া একটা কি তুলিয়া লইয়া হরিহরের দিকে হাত বাড়াইয়া বলিলেনএই নিন, যান, অন্য কিছু হবে-টবে না, নিন। সেটা যে শ্রেণীর মুদ্রাই হউক, সেটাই অন্য সুরে দিতে আসিলে হরিহর লাইতে কিছুমাত্র আপত্তি করিত না-এরূপ সে বহুস্থানে লইয়াছেও ; কিন্তু সে বিনীত ভাবে বলিল-আজ্ঞে ও আপনি রাখুন, আমি এমনি কারুর কাছে নিইনে-আমি শাস্ত্র পাঠ টাট করি।--তা ছাড়া কারুর কাছে-আচ্ছা থাকৃ এ*;টু শুভযোগ বোধহয় ঘটিয়াছিল। রক্ষিত মহাশয়ের কাঠের গোলাতেই একদিন একটা সন্ধান জুটল। কৃষ্ণনগরের কাছে একটা গ্রামে একজন বধিষ্ণু মহাজন গৃহ-দেবতার পূজা-পাঠ করিবার জন্য একজন ব্রাহ্মণ খুজিতেছে, যে পরাবর টিকিয়া থাকিবে । রক্ষিত মহাশয়ের যোগাযোগে অবিলম্বে হরিহর সেখানে *োল-বাউীর কর্তাও তাঙ্গাকে পছন্দ করিলেন । থাকিবার ঘর। দিলেন, অ্যািদর আপ্যায়নের কোন ত্রুটি হইল না । কয়েকদিন কাজ করিবার পরেই পজা আসিয়া পডিল । বাড়ী যাইবার গোয়াড়ীতে রক্ষিত মহাশয়ের নিকট বিদায় লইতে আসিলে সেখান হইতেও পাচটি টাকা প্রণামী পাওয়া গেল । আকাশে-বাতাসে গরম রৌদ্রের গন্ধ, নীল নির্মের্ণ আকাশেব দিকে চাহিলে মনে হঠাৎ উল্লাস আসে, বর্ষাশেষের সবুজ লতাপাতায়, পুথিকের চরণ-ভঙ্গীতে কেমন একটা আনন্দ মাখানো । রেলপথের দুপাশে কাশ ফুলের ঝাড গাড়ীর বেগে লুটাইয়া পড়িতেছে, চলিতে চলিতে বাড়ীর কথা মনে হয়। একদল শান্তিপুরের ব্যবসায়ী লোক পূজার পূর্বে কাপডের গাট ক্রয় করিতে কলি”,াতায় গিয়াছিল, চুণীঘাটের খেয়ার নৌকায় উঠিয়া কলরব করিতেছেসর্বত্র একটা উৎসবের উল্লাস। রাণাঘাটের বাজারে সে স্ত্রী ও পুত্রকন্যার জন্য কাপড় কিনিল। দুৰ্গা লালপাড় কাপড়, পরিতে ভালবাসে, তাহার জন্য বাছিয়া Abr.