আসিয়া সরু উঠানটাতে বাকাভাবে পড়িয়াছে। অপু মাটির মালসাটে গাদ্দাফুলের গাছ লাগাইয়াছিল, দু-তিনটা একপেটে গাদা নিতান্ত বিরক্তভাবে ফুটিয়া আছে—তলায় একটা বিড়াল-ছােনা বসিয়া। অপু বাবার বিছানার পাশেই বসিয়াছিল। তাহার বাবা আজ সকাল হইতে একটু ভাল আছে-ডাক্তার } বলিয়াছে বোধহয় জীবনের আশা হইল। ভাল থাকিলেও রোগীর খুব চৈতন্য আছে বলিয়া মনে হয় না, বেহুস অবস্থা। তাহার বাবা হঠাৎ চোখ খুলিয়া তাহার দিকে খানিকটা চাহিয়া থাকিয়া কি বলিল। অপুর মনে হইল বাবা তাহাকে আরও কাছে সরিয়া আসিতে বলিতেছে। অপু সরিয়া আসিতে হরিহর রোগশীর্ণ ক্ষীণ দুই হাতে ছেলের গলা জড়াইয়া ধরিয়া নীরবে তাহার মুখের দিকে অনেকক্ষণ ধরিয়া একদৃষ্টি চাহিয়া রহিল। অপু একটু অবাকৃ হইল, বাবার চোখের ওরকম দৃষ্টি কখনো সে দেখে নাই। রাত্রি দশটার সময় নিদ্রিত অপুর কিসের শব্দে ঘুম ভাঙিয়া গেল। ঘরে ক্ষীণ আলো জ্বলিতেছে-মা অঘোরে ঘুমাইতেছে, বাবার গলার মধ্যে নানাসুরে যেন কি শব্দ হইতেছে। তাহার কেমন ভয় ভয় ঠেকিল। কুল-মাখানো কড়িকাঠ, সঁ্যাতসেঁতে মেঝে, হাড়ভাঙা শীত, কাঠকয়লার আগুনের ধোয়া-সব মিলিয়া যেন একটা কঠিন দুঃস্বপ্ন। বাবার অসুখ সারিলে যেন বঁাচা যায়। শেষ রাত্রে তাহার মায়ের ঠেলা পাইয় তাহার ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল-অপু, ও অপু ওঠ, শীগগির গিয়ে ওপর থেকে হিন্দুস্থানী বৌকে ডেকে আনতো অপু উঠিয়া শুনিল বাবার গলার সেই শব্দটা আরও বাড়িয়াছে। উপর হইতে সুরযাকুয়ারী আসিবার একটু পরেই রাত্রি চারটার সময় হরিহর भाझi ciल | মাঝ-বর্ষার ধারামুখর কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে মনে হয় যে পৃথিবীর রৌদ্রদীপ্ত দিনগুলা স্বপ্ন না। সত্য ? এই মেঘ, এই দুদিন, অনন্ত ভবিষ্যতের পথে এরাই রহিল চিরসখী-দিগন্তের মায়া-লীলার মত চৈত্র বৈশাখের যে দিনগুলা অতীতে মিলাইয়া গিয়াছে।--আর কি তাহা ফিরিয়া আসে ? ) চারিধার হইতে সর্বজয়াকে কি এক কুয়াশায় ৰিরিয়া ফেলিল। তাহার মধ্য দিয়া না দেখা যায় পথ, না চেনা যায়। সাখী, না জানা যায় কোথায় আছি । সন্দেহ হয় এ কুয়াশা বোধহয় বেলা হইলে, রৌদ্র উঠিলেও কাটিবে না, এর পিছনে আছে আকাশ-ছাওয়া ফিকে ধূসর রং-এর সারাদিনব্যাপী অকাল বাদলের মোৰ ! BBBD SDB L qLLD S DBDD D L LBDDB DD BD উণকার করিল। জালিম সিং অফিস কামাই করিয়া সৎকারের লোকের জন্য RA.
