পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলা গ্লাসে চুমুক দিয়া বাকী দুখটুকু শেষ করিল, পরে সেও খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। -6वश्यां भिष्ठेि छ्, न ? -আমার এটো খেলে কেন ? খেতে আছে। পরের এটা ? আমার ইচ্ছে-একটুখানি থামিয়া কহিল-তুমি বল্পে জালছবি তুলতে জানো, ছাই জানো, দাও তো আমায় ক’খানা জলছবি তুলে ? পথের পাঁচালী চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ জ্যৈষ্ঠ। মাসের মাঝামাঝি সর্বজয়া চাহিয়া-চিন্তিয়া কোনো রকমে অপুর উপনয়নের ব্যবস্থা করিল। পরের বাড়ী, ঠাকুর-দালানের রোয়াকের কোণে ভয়ে ভয়ে কাজ সারিতে হইল। বামনী মাসী নাড়ু ভাজিতে সাহায্য করিল, দু'একজন রাধুনী বামুনঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করিয়া আসিল, বাহিরের সম্রান্ত লোকের মধ্যে বীরু গোমস্ত ও দীনু খাতাঞ্জি । উপনয়ন মিটিয়া যাওয়ার দিনকতক পরে, অপু নিজের ঘরটিতে বসিয়া বসিয়া লীলার দেওয়া বঁধানো ‘মুকুল’ পডিতেছিল। খোলা দরজা দিয়া কে ঘরে ঢুকিল। অপু যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করিতেই পারিল না, তাহার পরই বলিয়া উঠিল-এ কি, বাম-কখন লীলা কৌতুক ও হাসিভরা চোখে দাড়াইয়া। অপু বলিল-বাঃ বেশ তো তুমি। ব’লে গেলে সোমবারে আসবো কলকাতা থেকে, কত সোমবর হয়ে গেলা-ফেরবার নামও নেই লীলা হাসিয়া মেঝেতে বসিয়া পড়িল। বলিল-আসবো কি ক’রে ? স্কুলে ভর্তি হয়েচি, বাবা দিয়েচেন ভতি ক’রে, বাবার শরীর খারাপ, এখন আমরা কলকাতার বাড়ীতেই থাকবো। কিনা। এখন ক'দিন ছুটি আছে, তাই মা’র সঙ্গে এলাম-আবার বুধবারে যাবো। অপুর মুখ হইতে হাসি মিলাইয়া গেল। বলিল-থাকবে না। আর তোমরা giftig ? R