পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বজয়ার রোগশীর্ণ মুখের হাসিতে অপুর চোখে জল আসিল। সে পুটুলি খুলিয়া গোটাকতক কমলালেবু, বেদানা, আপেল বাহির করিয়া দেখাইল । জিনিসপত্র সন্তায় কিনিতে পারিলে সর্বজয়া ভারি খুশী হয়। অপু জানে মাকে আমোদ দিবার এটা একটা প্রকৃষ্ট পন্থা। কমলালেবু দেখাইয়া বলে কত সন্তায় কলকাতায় জিনিসপত্র পাওয়া যায় স্থাখো-লেবুগুলো দশপয়সা প্রকৃতপক্ষে লেবু-ক’টির দাম ছ’ আনা । সর্বজয়া আগ্রহের সহিত বলিল-দেখি ? ওমা, এখানে যে, ওগুলোর দাম বারে আনার কম নয়-এখানে সব ডাকাত । চাব পয়সায় এক তাড়া পান দেখাইয়া বলিল-বৈঠকখানা বাজার থেকে দু’। পয়সায়-দ্যাখো ম|- সর্বজয়া ভাবে-এবার ছেলের সংসারী হইবার দিকে মন গিয়াছে, হিসাব করিয়া সে চলিতে শিখিয়াছে । অপু ইচ্ছা করিয়াই লীলার সহিত সাক্ষাতের কথাটা উঠায় না। ভাবে, মা মনে মনে দুরাশ পোষণ করে, হয়ত এখনি বলিযা বসিবে-লীলার সঙ্গে তোর বিঘে হয় না ?--দাবকাব কি, অসুস্থ মায়েব মনে সে-সব দুবাশার ঢেউ তুলিয়া ? এমন সব কথা কখনও অপু মায়েব সামনে বলে না, যাহা কিনা, মা বুঝিবে না । জগৎ সংসারটাকে মায়ের সীমাবদ্ধ জ্ঞানের উপযোগী করিয়াই সে মায়ের সম্মুখে উপস্থিত করে। দিন-তিনেক সে বাডি রহিল। রোজ দুপুরে জানালার ধাবে বিছানাটিতে সর্বজয়া শুইয়া থাকে, পাশে সে বসিয়া নানা গল্প করে। ক্রমে বেলা যায়, রোদ প্রথমে ওঠে রান্নাঘরের চালায়, পরে বেড়ার ধারের পালতেমাদার গাছটার মাথায়, ক্রমে বঁাশঝাড়ের ডগায়। ছায়া পডিয়া যায়-বৈকালের ঘন ছায়ায় অপুর মনে আবার একটা বিপুল নির্জনতা ও সঙ্গহীনতার ভাব আনে—গত শ্রীষ্মের ছুটির দিনের মত। সর্বজয়া হাসিয়া বলে-পাশটা হ’লে এবার তোর বিয়ের ঠিক করেছি এক জায়গায়। মেয়ের দিদিমা এসেছিল। এখানে, বেশ লোক ঘরের কোণে একটা তাকে সংসারের জিনিসপত্র সর্বজয়া রাখিয়া দেয়একটা হাড়িতে আমসত্ত্ব, একটা পাত্রে আচার। অপু চিরকালের অভ্যাস অনুসারে মাঝে মাঝে ভঁাড় হাড়ি খুজিয়া-পাতিয়া মাকে লুকাইয়া এটা-ওটা চুরি করিয়া খায়। এ কয়দিনও খাইয়াছে। সর্বজয়া বিছানায় চােখ বুজিয়া শুইয়া থাকে, টের পায় না-সেদিন দুপুরে অপু জানালাটার কাছে দাড়াইয়া SBBDYSLBBDBD DDBDL KBDBDBD BDi S BDBB LBLBL DD DDDYS আমার গামছাখানা আবার পিাবচো কেন ?-ওখানা তিলে বড়ি দেবো বলে