পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়রে পাখী-ই-ই লেজিঝোলা, マtwi国の対下エ fて研ーa-a-*isgのSi研... খোকা ট্যাপ ট্যাপা ফুলো-ফুলো গালে মায়ের মুখের দিকে হা করিয়া চাহিয়া থাকিত, পরে হঠাৎ কি মনে করিয়া সম্পূর্ণ দন্তহীন-মাড়ি বাহির করিয়া আহিলাদে আটখানা হইয়া মলা-পরা অসম্ভব রূপ ছোট্ট পায়ে মাকে আঁকড়াইয়া ধরিয়া মায়ের পিঠের দিকে মুখ লুকাইত। সর্বজয়া হাসিমুখে বলিত-ওম, খোকা আবার কোথায় লুকালো ? তাইতো, দেখতে তো পাচ্ছিনে। ও খোকা ! -পরে সে ঘাড়ের দিকে যুখ ফিরাইতেই শিশু আবার হাসিয়া মুখ সামনের দিকে ফিরাইত এবং নির্বোধের মত হাসিয়া মায়ের কাধে মুখ লুকাইত। যতই সর্বজয়া বলিত-ওম, কৈ আমার খোক কৈ-আবার কোথায় গেলোকৈ দেখি-ততই শিশুর খেলা চলিত। বারবার সামনে পিছনে ফিরিয়া সর্বজয়ার ঘাড়ে ব্যথা হইলেও শিশুর খেলা শেষ হইত না । সে তখন একেবারে আনকোরা টাটুকা, নতুন সংসারে আসিয়াছে।। জগতের অফুরন্ত আনন্দভাণ্ডারের এক অণুর সন্ধান পাইয়া তাহার অবোধ মন তখন সেটাকে লইয়াই লোভীর মত বারবার আস্বাদ করিয়া সাধ মিটাইতে পারিতেছে না।--তখন তাহাকে থামায় এমন সাধ্য তাহার মায়ের কোথায় ? খানিকক্ষণ এরূপ করিতে করিতে তাহার ক্ষুদ্র শরীরে শক্তির ভাণ্ডার ফুরাইয়া আসিত, সে হঠাৎ যেন অন্যমনস্ক হইয়া হাই তুলিতে থাকিস্ত-সর্বজয়া ছোট হা-টির সামনে তুডি দিয়া বলিত-যাট ষাট-এই দুষ্ঠাখো দেয়াল ক’রে ক’রে এইবার বাছার আমার ঘুম আসচে। পরে সে মুগ্ধ নয়নে শিশু-পুত্রের টিপ-কাজল-পরা কচি-মুখের দিকে চাহিয়া বলিত-কত রঙ্গই জানে সনাকু আমার-তবুও তো এই ষোটের দেড়বছরের ! হঠাৎ সে আকুল চুম্বনে থোকার রাঙা-গাল দু'টি ভরাইয়া ফেলিত । কিন্তু মায়ের এই গাঢ় আদরের প্রতি সম্পূর্ণ ঔদাসীন্য প্রদৰ্শন করিয়াই শিশুর নিদ্রাতুর আঁখিপাতা ঢুলিয়া আসিত ; সর্বজয়া খোকার মাথাটা আস্তে আস্তে নিজের কঁধে রাখিয়া বলিত-ওম, সন্দেবোলা দ্যাখে ঘুমিয়ে পড়লো ! এই ভাবচি সন্দেটা উৎরুলে দুধ খাইয়ে তবে ঘুম পাড়াবো।-দ্যাখো কাণ্ড ! • • • সর্বজয়া জানিত-ছেলে আটবছরের হইলে কি হইবে, সেই ছেলেবেলাকার মত মায়ের সহিত লুকোচুরি খেলিবার সাধ এখনও মিটে নাই । এমন সব স্থানে সে লুকায় যেখানে হইতে অন্ধও তাহাকে বাহির করিতে পারে ; কিন্তু সর্বজয়া দেখিয়াও দেখে না-এক জায়গায় বসিয়াই এদিকে ওদিকে চায়, বলে-তাই তো ! কোথায় গেল ? দেখতে তো পাচ্ছিনে - 竣8