পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেকে কাছে টানিয়া লইয়া অপু বলিল-চলে বাবা, যাই। পথে বাহির হইয়া বলিল, আমরা যদি এখান থেকে চলে গিয়ে অন্য জায়গায় থাকি, তবে তোর মন খারাপ হবে-না রে ? কাজল প্রথমে অবাক হইয়া গেল। চলিয়া যাইবার কথা উঠতেছে কেন ? অবশ্য বাবা যেখানে আছে, এমন জায়গায় থাকিতে তাহার খারাপ লাগিবে না, কিন্তু পিসিকে ছাডিয়া থাকা বডে কষ্টের । -কোথায় যাবো বাবা ? কোথায় যাওয়া হইবে তাহা অপুও কিছু ভাবে নাই। গ্রাম ছাডিয়া বেশীদূর যাওয়া হইবে না, আবার কলিকাতাও কাছে হইবে-এমন স্থানের সন্ধান সে মনে মনে করিতেছিল। ছেলেব প্রশ্নের জবাবে সংক্ষেপে বলিলআমিও তাই ভাবছি রে । গ্রাম ছাডিয়া বেশীদূর যাওয়া ঘটবে না-সে যাইতে পরিবে না। বারবার তাহাকে ভিক্ষুকের মতো ফিরিয়া আসিতে হইয়াছে নিশ্চিন্দিপুরে। এ গ্রামের প্রকৃতি তাহার কাছে জীবনধারণের জন্য বাতাসের মতো প্রয়োজনীয়। তবুও ছেলের কল্যাণের জন্য যাইতেই হইবে বাহিরে। ভাল স্কুলে না পন্ডিলে কাজলের চোখ ফুটিবে না। দেওয়ানপুব স্কুলের মিঃ দত্ত-র কাছে সে নিজে ঋণী ; বৃহত্তর জীবনে প্রবেশের মুখে তিনি তাহাকে প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। কাজলকে সে নিজে তৈয়ারী করিয়া দিবে। নদীর ধারে যাইবার পথে আধাবয়সী স্কুলবপু এক ভদ্রলোক ডাকিয়া নমস্কার করিলেন-আপনিই তো অপূর্ববাবু? -আজ্ঞে ইত্যা । আপনাকে তো আগে এ গ্রামে দেখি নি বলেই বোধ হচ্ছে। নতুন এসেছেন বুঝি ? নতুনই বটে। তাও ধরুন গিয়ে খুব নতুন আর কি ! বছর কয়েক তো হয়ে গেল। আমার নাম রাধারমণ চাটুজ্যে । বরাবরের নিবাস ঝাপড়দহ’র কাছে গ্রামে, তা সে মশাই এমন ম্যালেরিয়া যে কি বলব। দেখাদেখা করে একেবারে গ্রাম উজাড় -8 -হ্যা। তারপর আর সে গ্রামে ভরসা করে বাস করা-বুঝলেন না ? তাও গিল্পী বলেছিলেন, যেখানে যােচ্ছ সেখানে কি আর জরজারি নেই ? কথাটা অবশ্য মন্দ বলে নি, কি বলেন ? -उबाहख्छ ईा । छैिक कथाझे बटलCछन छैनि । --মশায় শুনলাম দেশ-বিদেশ অনেক ঘুরেছেন, একদিন গল্প শুনতে যাবো । R