কি দেখিতেছিল তাহা সে বাবাকে মোটেই বুঝাইয়া উঠিতে পারে নাই, প্রকাশের চেষ্টায় তাহার মুখ লাল হইয়া গিয়াছিল। চিলগুলি নহে, অগ্নিবৰ্ষী আকাশটা নহে, মাঠ-প্রান্তর নহে, মেঘ নহে, অথচ এই সবগুলি মিলিয়া যে গভীর ঐকতান সাধারণ মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার বাহিরে সর্বদাই বাজিতেছে, তাহা সে কেমন করিয়া শুনিয়া ফেলিয়াছে। অপু একেবারে অবাক হইয়া গিয়াছিল। তাহার নিজের শৈশবের চিন্তা হুবহু কাজলের মনে প্রতিফলিত হইয়াছে-হুবহু। ছোটবেলায় সে-ও রোয়াকে বসিয়া গ্রীষ্মের দুপুরে অবাক হইয়া আকাশ দেখিত। প্রকৃতির আশ্চর্য নিয়মগুলির কাছে শ্রদ্ধায় তাহার মাথা নত হইয়া আসে। মানুষের মতামত, ইতিহাসের গতি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করিয়া প্রকৃতি কঠোর হাতে পৃথিবী শাসন করিতেছে। প্রকৃতি স্পষ্ট, জড়তাশূন্য অথচ রহস্যময়। প্রকৃতির রহস্যময়তার প্রতি আকর্ষণ কাজলের । রক্তেও সঞ্চারিত। আর মুক্তি নাই-সে মুক্তি পায় নাই, কাজলও পাইবে না। রান্নাবান্না কোন রকমে হইতেছিল। সৌভাগ্যের কথা এই যে কাজলের মুখে অপুর রান্না মোটামুটি খারাপ লাগে না । V কিন্তু এইভাবে বেশীদিন চলিবে না, তাহা অপু বুঝিতে পারিয়া একটি বুড়ীকে রান্নার জন্য ধরিয়া আনিল। খুব বুড়ী নয়, দুইজনের রান্নার কাজ চালাইয়া লইতে পারে। বুড়ীরও কোথাও আশ্রয় মিলিতে ছিল না, বলিবামাত্র পোটলা হাতে করিয়া আসিয়া পড়িল। তাহার ব্যস্ততা দেখিয়া অপু মনে BB DDDYLDDDS D DDDDBDS BBD BD BDD SS BBBB BDuDBDB BBS BB দেব যতদিন থাকে। মুখে বলিল-তোমাকে কি বলে ডাকব বলে। দেখি , তোমার ছেলের নাম তো গোপাল ? তাহলে গোপালের মা বলে ডাকব, কেমন ! --আর বাবা ছেলে । সে কি আমায় দেখে, না খেতে দেয় ? তবুও কি জালা, তার নাম ধরেই লোকে আমায় ডাকবে। যেখানে যাই, শুধু গোপালের उत्रांद्र ८शंभंiळलठ्ठ - —তবে অন্য একটা কিছু বলো, সেভাবেই ডাকব’খন। তাহাতেও বুড়ীর আপত্তি। দেখা গেল, যে ছেলে খাইতে বা পরিতে দেয় না, মুখে আপত্তি করা সত্ত্বেও বুড়ী তাহারই নামে পরিচিত হইতে চায়। অপুর কেমন মায়া পড়িয়া যাওয়ায় গোপালের মা থাকিয়া গেল । মালতীনগরে আসিবার পরদিন অপু কাজলকে লইয়া বেড়াইতে বাহির হইল। যে পথটা বাজারের মধ্য দিয়া গিয়া রেললাইন পার হইয়াছে, সে পথ ধরিয়া দু’জনে কিছুক্ষণ স্থাটিল। বাজার ছাড়াইবার পর বাঁদিকে একটি দোকান ? হইতে অপু একটা সিগারেট কিনিল। লুঙি-পরা একজন মানুষ হাত-পা