পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাড়িয়া কোনটা পড়িবে, ঠিক করিতে পারে না। কতকগুলি পছন্দসই বইএর লিস্ট করিয়া ফেলিল সে, এক এক করিয়া পড়িবে। এই ব্যাপারে তাহার কিছু সুবিধা ছিল, এমন সব বইয়ের সে ক্লিপ দিত, যাহা সাধারণতঃ কেহ নেয় না। দপ্তরী তাক হইতে বই পাড়িয়া তাহার হাতে আনিয়া দিলে সে ফু দিতে দিতে বলে, বাকবাং ! বেজায় ধুলো জমে গেছে দেখছি। দপ্তরী হাসিয়া বলিত-বহু কাল বাদে বেরুলো তো বাবু। কাজল অবাক হইয়া যায় ? এত ভালো বই কেহ পড়ে না কেন ? তাহাকে যদি লাইব্রেরীতে থাকিতে দিত, দিনরাত সে মাদুর পাতিয়া বসিয়া বই নামাইয়া নামাইয়া পড়িত। চাকরী হইলে সে টাকা জমাইয়া ভাল লাইব্রেরী করিবেবাড়ীতে। মৌপাহাড়ীতে গিয়া থাকিবে তখন, সেখানকার স্কুলে মাষ্টারী করিবে। কলিকাতা হইতে বই কিনিয়া একটা ঘর সে ভর্ত্তি করিয়া ফেলিবে । দেওয়াল দেখা যাইবে না, শুধু আলমারী। সারাদিন বইএর মধ্যে কাটানোউঃ ! এত বেশী আনন্দ আর কিসে পাওয়া যাইতে পারে ? কাজলের উদুর্ব শিখিবার শখ হইল। কি-একটা বই পড়িতে পড়িতে BB iiBB DBDDBB DD DD BBDuD SS DDD DDDB BBDB BD ভাল লাগিল যে ক্রমশঃ উদুর্ব কবিতা সংগ্রহ করা। তাহার বাতিকে দাড়াইয়া গেল। কলেজে এক সহপাঠকে সে উদুর্ব কবিতা আবৃত্তি করিয়া শোনাইতেছিল, ছেলেটি তাহাকে উদুর্ব শিখিবার উপদেশ দেয়। কথাটা মনে ধরিল। অনেক সন্ধানের পর এক বৃদ্ধ মুসলমান ভদ্রলোককে পাওয়া গেল, তিনি সপ্তাহে তিনদিন সন্ধ্যায় কাজলকে উদু পাঠ দিতে রাজি হইলেন। সন্ধ্যাবেলা খাতা হাতে কাজল তার কাছে গিয়া হাজির হয় । মালতীনগরের প্রান্তে এক মসজিদে তিনি থাকেন, সবাই মৌলবীসাহেব বলিয়া ডাকে । কাজল গেলে মৌলবীসাহেব হাসিয়া বলেন-সেলাম আলেকম। ইহার প্রত্যুত্তরও কাজল তাহার নিকট হইতে শিখিয়া লইয়াছে—সে মাথা ঝুকিয়া বলে, ও আলেকম সেলাম। মৌলবীসাহেব বুঝাইয়া বলিলেন-এটা হচ্ছে শুভেচ্ছা জানানো, ভগবানের আশীৰ্বাদ প্রার্থনা করা । একজন বলছে-তোমার ওপরও ভগবানের আশীৰ্বাদ নেমে আসুক ; অন্যজন বলছে-তোমার ওপরও ভগবানের আশীৰ্বাদ নেমে আসুক । মৌলবীসাহেবের ছোট ঘরে মোমবাতি জলে, মাদুরের উপর বসিয়া কাজল মনোযোগ দিয়া, আপাত বৈসাদৃশ্যহীন উন্থ অক্ষরের পার্থক্য বুঝিবার চেষ্টা করে। মৌলবীসাহেব হা-হা করিয়া- বলেন- নেহি, নেহি, এয়স, কবুকে লিখি খোইয়ে হামজা নেহি হয়। S 0 &