পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘එV অবাকৃপুরদর্শন। দিয়া গলিয়া যাইভ । যখন যে ভাবে রাজা ছড়ি ধরতেন তাহারা সেইরূপই করিত। ক্রীড়াবিষয়ে তাহাদের অতিশয় দ্রুতগামিত্ব ও চতুরতা ছিল। ক্রীড়া সময়ে, কখন বা রাজা ও তাছার মন্ত্রী, দুই জনে ছড়িটির দুই ধার ধরিতেন । যে ব্যক্তি ক্রীড়াতে প্রথম হইত সে ব্যক্তি নীলবর্ণের রেশম স্থত্র পুরস্কার পাইত, দ্বিতীয় ব্যক্তি রক্তবর্ণের ও তৃতীয়টি হরিৎবর্ণের সুত্র পাইত । ঐ স্থত্র তাহারা কটিদেশে কটিবন্ধনরূপে ব্যবহার করিত । রাজসভাস্থ প্রায় সকলেরই কটিদেশে ঐরুপ একটি করিয়া সুত্র ছিল । সৈন্যগণের ও রাজার ঘোটক সকল, প্রতিদিন আমাকে দর্শন করাতে, পূর্বের ন্যায় আর ভীত হইত না । তাছারা নির্ভয়ে আমার নিকটে আসিভ। অশ্বারোহীর আমার হস্তোপরি ঘোটক সমেত উঠিত ; আমি ভখন ভূমিতে হস্ত রাখিয়া দিতাম । কোন কোন সাহসী অশ্বারোহী লম্ফন পূর্বক আমার পদদ্বয়ের উপর উঠিত। এক দিন আমি আশ্চর্য্য প্রকারে রাজার আমোদ জন্মাইয়া ছিলাম। দেড় হস্ত পরিমিত কতকগুলি ছড়ি রাজাকে আনাইয়। দিতে কছিলাম। রাজা অরণ্য রক্ষকের প্রতুি এরূপ আদেশ করিলেন। পরদিন প্রভাতে অরণ্য রক্ষক ৬ খানি গাড়ী করিয়া কতকগুলি ছড়ি আমাকে আনিয়া দিল। প্রত্যেক গাড়ী, আটটি করিয়া ঘোটকে টানিয়া আনিল। . আমি তাছার নয় গাছি লইয়া গৃহের