পাতা:অবতার.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ১৯১ —তুমি কি বলুচ ওলাফ ? কি ! তোমার পিতৃ-পিতামহের ভাষা, তোমার পবিত্র জন্ম-ভূমির ভাষা, যে ভাষায় তোমরা স্বজাতীয় ভাইদের চিনতে পার, যে ভাষায় সর্ব্বপ্রথমে আমাকে বলেছিলে—“আমি তোমায় ভালবাসি,” সেই ভাষা তুমি ভুলে যাবে, এ কি সম্ভব ? কৌন্ট-দেহ অক্টেভ আর কোন সঙ্গত উত্তর খুজিয়া না পাইয়া ললিল,—“আর এক ভাষা ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ায়”. এবার ভংসনার স্বরে কৌন্টেস বলিলেন—“ওলাফ, আমি দেখুছি প্যারিস্ তোমাকে বিগৃড়ে দিয়েছে ; সেই জন্তেই তখন প্যারিসে আসতে আমার ইচ্ছে ছিল না । তখন কে জানত, যে মহামহিম কৌন্ট লাবিন্‌স্কি যখন স্বরাজ্যে ফিরে যাবেন, তখন তার প্রজাদের অভিনন্দনে তিনি নিজ ভাষায় উত্তর দিতে পারবেন না ?” কোণ্টেসের সুন্দর মুখখানি একটু বিধ ভাব ধারণ করিল। দেবীপ্রতিম নির্ম্মল ললাটে এই সর্ব্বপ্রথম একটা দুঃখের ছায়া পড়িল । এই অদ্ভুত বিস্কৃতি, তাঙ্গর আয়ার মর্ম্মস্থল স্পশ করিল ; ইহাকে তিনি একপ্রকার বিশ্বাসঘাতকতা বলিয়া মনে করিলেন । অহারের অবশিষ্ট সময়ট নিস্তদ্ধভালে অতিবাহিত হইল ; কোণ্টেস, মাকে কেন্ট মনে করিয়াছিলেন, সেই অক্টেভের উপর অভিমান করিলেন। অক্টেভের মনে এখন একটা বিষম যন্ত্রণা হইতেছিল ; তাঁর ভয় হইতেছিল, পাছে তার উত্তর দিতে না পারে। কোণ্টেস গাত্রোথান করিয়া আপন মহলে চলিয়া গেলেন । অক্টেভ এখন একৃল,—একটা ছুরির বাট লষ্টয়া ক্রীড়াচ্ছলে নাড়াচাড়া করিতেছিল ; এক-একবার ইচ্ছা হইতেছিল, ঐ ছুলি নিজের বুকে বসাইয়া দেয় ;—তার অবস্থাটা এতই অসহ্য হইয়। উঠিয়াছিল। সে মনে, করিয়াছিল, হঠাৎ এক নূতন জীবন-ক্ষেত্রে সে .