পাতা:অবতার.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ অবতার দিয়া উষ্ঠানে নামিতে হয়। তিনি তার পিয়ানো, একটা কোঁচ ও পানকয়েক বেতের চৌকি ঐখানে আনাইয়াছিলেন। থামের মাঝে মাঝে গঠিত ইষ্টক-বেদিকার উপর সুরভি-কুমুমে পূর্ণ কতকগুলি জম্‌কালো ফুলদানী রহিয়াছে এবং মধ্যে মধ্যে পর্ব্বত-প্রদেশ হইতে দম্বক বাতাস আসিয়া সৌরতে পরিসিক্ত হইয়া চারিদিক আমোদিত করিতেছে। তাহার সম্মুখে স্তম্ভশ্রেণী ফাকের মধ্য দিয়া উদ্যানের কাট-ছাট ঝোপের বেড়া দেখা যাইতেছে। শতবর্ষবয়স্ক কতকগুল ঝাউ মাথা তুলিয়া রহিয়াছে ; ইতস্ততঃ সুগঠিত পাষাণ-প্রতিমা উদ্যানের শোভা সম্পাদন করিতেছে । “রাণী বেতের কোঁচে অৰ্দ্ধশায়িত অবস্থায় একাকী ছিলেন । কি সুন্দর দেখাচ্ছিল ! এমন সুন্দরী এর পূর্ব্বে আমি একে কখনই দেখি নি ; শরীরে একটা এলানো ভাব, গরমে যেন অবসন্ন। ভারতের শুভ্র স্বচ্ছ মসলিন বস্ত্রে আরত—যেন সাগরের অঙ্গরা সাগরের ফেনপুঞ্জে পরিমাত ; পরিচ্ছদের কিনারায় যেন তরঙ্গের রজত-ঝালর দীপ্তি পাইতেছে। একটি ইস্পাতের ব্রোচে এই স্বচ্ছ লঘু পরিচ্ছদ বক্ষের উপর আটকানো রহিয়াছে, এবং এই পরিচ্ছদ পদতল পর্যাস্তু লুটিয়া পরিয়াছে। ফুলের পাপূড়ীর ভিতর হইতে ফুলের মত, অমল ধবল বাহুযুগল জামার আস্তিন হইতে বাহির হইয়াছে। কটিদেশ একটি কালে ফিতায় বদ্ধ— ফিতার প্রাস্ত নীচে ঝুলিয়া পড়িয়াছে—পায়ে বিচিত্র রেখায় অঙ্কিত নীল চন্মের একযোড়া ছোট চটিজুতা ;–পদতলের পরিচ্ছদের ভাজ হইতে উহার ছ’চালো বক্র মুখ বাহির কুইয়া রহিয়াছে। “রাণী বই পড়ছিলেন, আমাকে দেখে পাঠ বন্ধ করলেন, এবং একটু মাথা নাড়িয়া ইসরায় আমাকে বসতে বললেন । রাণী একাকী ছিলেন ; এইরূপ অনুকল অবস্থ বড়ই জলভ। তার সম্মুখেই একটা আসনে আমি