পাতা:অবতার.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার Hථ অমর আত্মা ঐ খোলস ইচ্ছামত ত্যাগ করতে পারে কিংবা আবার গ্রহণ করতে পারে। যখন উহাদের ভীষণ-দর্শন জীর্ণ-গীর্ণ জড়বৎ দেহপিওটা একস্থানে পড়ে থাকে, তখন ওঁদের আত্মা, সকল বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে খেয়ালের ডানায় ভর করে গণনাতীত উচ্চ প্রদেশে অলৌকিক জগতে উড়ে যায়। তখন তারা অদ্ভুত দৃশ্ব অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতে থাকেন। অনন্তের সাগর-বক্ষে বিলীন যুগযুগাস্তের যে সব তরঙ্গ ওঠে, তারা যোগানন্দের উচ্ছাসে সেই সব তরঙ্গ অনুসরণ করেন ; তারা বিধাতার সৃষ্টিকার্য্যে সাহায্য করেন, দেবতাদের জন্মগ্রহণ ও যোনিত্রমণে সাহায্য করেন, সর্ব্বতোভাবে অসীমের মধ্যে র্তারা বিচরণ করেন। প্রলয়কাণ্ডের দরুণ যে সব বিজ্ঞান বিলুপ্ত হয়েছে, সেই সব বিজ্ঞান এবং আদিম মানব ও পঞ্চভূতের বিবরণ তাদের স্মরণে আসে ; এই উদ্ভট অবস্থার মধ্যে, তারা এমন এক ভাষার শব্দ বিড়বিড় করে’ উচ্চারণ করেন, যে ভাষায় বহুকাল যাবৎ কোন জাতিই আর কথা কয় না । সেই আদিম শব্দ-ব্রহ্মকে তারা আবার পেয়েছেন,—যে শব্দব্রহ্ম পুরাতন অন্ধকারের মধ্য হতে, আলোকের উৎস ধারা ছুটিয়ে দিয়েছিল। লোকে তাদের পাগল মনে করে, আসলে তার দেবতা ।” এই অদ্ভুত গৌরচন্দ্রিকায় অক্টেভের উদ্দীপ্ত কৌতূহল শেষ-সীমান্য আসিয়া পৌছিল, ডাক্তারের কথার গতি কোনদিকে বুঝিতে না পারিয়া, চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া, জিজ্ঞাসার ভাবে একদৃষ্টে তাহার দিকে চাহিয়া রহিল। অক্টেভের ভালবাসার সহিত ভারতের সাধু-সন্ন্যাসীর কি সম্বন্ধ থাকিতে পারে, অক্টেভ তাহা কিছুই অনুর্মান করিতে পারিল না । ডাক্তার অক্টেভের মনোগতভাব বুঝিতে পারিয়া, কোন প্রশ্ন করতে মানা করিবার ভাবে হাতের একটা ইসারা করিয়ু বলিলেন :—বপু, একটু ধৈর্য্য ধর ; এখনি তুমি বুঝিতে পারিবে—আমি যা বহুম, এসৰ* రి