পাতা:অবতার.djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ○堂 সমর্থ হলাম। কিন্তু তবু আমার উদেশ্ব সিদ্ধ হল না। আত্মাকে আমি কিছুতেই ধরতে পারলাম না । আমি আত্মাকে অনুভব করতে পারতাম, বুঝতে পারতাম, আত্মার উপর কার্য্যফল উৎপাদন করতে পারতাম । আমি আত্মার বৃত্তিগুলিকে জড়ীভূত কিংবা উত্তেজিত করতে পারতাম । কিন্তু আত্মা ও আমার মধ্যে যে মাংসের আবরণ আছে সেটাকে কিছুতেই ' অপসারিত করতে পারতাম না—পাছে আত্মাটা উড়ে পালায়। ব্যাধ যেমন জালে পার্থী ধরে জালটা তুলতে সাহস করে না—পাছে পার্থীটা আকাশে উড়ে যায়—এ সেই রকম। শেষে আমি ভারতবর্ষে যাত্রা করলাম—এই আশা করে’ যে, সেই পুরাতন জ্ঞানের দেশে আমার দুজ্ঞেয় সমস্তার মন্ত্রটি আমি পাব। আমি সংস্কৃত ও প্রাকৃত শিখলাম। আমি পণ্ডিত ও ব্রাহ্মণদের সঙ্গে কথা কইতে সমর্থ হলাম ; যেখানে থাবা পেতে বসে’ বাঘরা গর্জন করে, সেই সব জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালাম। যে সব পবিত্র সরোবরে কুমীরের বাস, সেই সব সরোবরের ধার দিয়ে চলতে লাগলাম। লতাগুন্মে আচ্ছন্ন ভুলঙ্ঘ্য অরণ্য পার হয়ে গেলাম। আমার পায়ের শব্দে বাদুড়ের ঝণক উড়ে গেল, বানরের পাল পালিয়ে গেল। যে পথে হরিণরা বিচরণ করে, সেই পথের বাক নেবার সময় একেবারে হাতীর মুখামুখী এসে পড়লাম। এইরকম করে অবশেষে একজন প্রসিদ্ধ যোগীর কুটীরে এসে পৌছিলাম। আমি তার মৃগচর্ম্মের একপাশে বসে’, যোগানন্দের উচ্ছ্বাসে দশা-পাওয়া অবস্থায় তার মুখ দিয়ে যে সব অস্পষ্ট মন্ত্র নিঃস্থত হচ্ছিল তাই পুব মন দিয়ে শুনতে লগিলাম ; এইরকম করে কতদিন কেটে গেল। তার মধ্য থেকে বেছে যে শব্দগুলা খুব শক্তিমান সেই সব শব্দ, যে মন্থে প্রেতাত্মাদের আবাহন করা যায়.সেই সব মন্ত্র, তারপর শব্দ-ব্রহ্মের মন্ত্র আমি মনে করে রাখলাম ; দেবমন্দিরের অভ্যন্তরস্থ কক্ষে