পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়ে উত্তর দিলেন, ডানা খুলে উড়তে বনের পাখির। শিখিয়েছে যে ’ “যাও, সেই বুড়ির মধ্যে মুরগি-গিল্লি এতক্ষণ র্কাদছে ? কুঁকড়ে বললেন, ম আমায় দেখে কী খুশিই হবেন। জিন্ম বললে, আর বলবেন পুরোনো চাল ভাতে বেড়েছে রে ।” বলে কুকুর ঠিক মুরগি-গিল্লির আওয়াজটা নকল করলে। কুঁকড়ে। জিম্মাকে বললেন, ‘চলে যাওয়া যাক। আর কেন ? সোনালি যেন সে কথা শুনেও শুনলে না । সে দেখাতে চায় কুঁকড়ে গেলে তার একটুও কষ্ট হবে না। কিন্তু আপনা হতেই তার চোখদুটি জলে ভরে এল। কুঁকড়ে তা দেখলেন, তারও মন একটু উদাস হল । শেষে কুঁকড়ে জিন্মাকে সোনালির কাছে দু-একদিন থাকতে বললেন। জিন্ম অনেক দুঃখু সয়েছে, সে সোনালিকে বোঝাবার জন্যে কিছুদিন বনে থাকাই স্থির করলে। কুঁকড়ে বিদায় নিয়ে এবার সত্যিই চললেন, সোনালি আর থাকতে পারলে না, ছুটে গিয়ে কাদতে কঁাদতে তাকে বললে, “আমাকেও সঙ্গে নাও। কুঁকড়ে তার মুখে অনেকক্ষণ চেয়ে থেকে বললেন, ‘আলোর ছোটো বোন হয়ে থাকতে পারবে কি ? কখনো না ’ বলে সোনালি সরে দাড়াল। তবে আসি ’ বলে কুঁকড়ো এগোলেন। সোনালি রেগে বললে, “আমি তোমায় একটুও ভালোবাসি নে ? কুঁকড়ে তখন মাঝ-পথে ফিরে দাড়িয়ে বললেন, কিন্তু আমি তোমায় সত্যিই ভালোবাসি, কেবল ভাবছি আমার দিনগুলির সঙ্গে যদি তুমি মিলতে পারতে। বলতে-বলতে কুঁকড়ে বনের আড়ালে বেরিয়ে গেলেন। সোনালি রাগ-ভরে বলে উঠল, যেমন আমাকে ঠেলে গেলেন, তেমনি পড়েন পাখ মারের পাল্লায় তো ডানাদুটি কেটে ছেড়ে দেয়। জিন্ম চুপটি করে বসে সোনালির রকম-সকম দেখছে, এমন সময় কাঠঠোকর নিজের কোটর থেকে মুখ বুকিয়ে বলে উঠল, পাখমারটা কুঁকড়োকে তাগ করছে যে। কী বিপদ পেঁচার। অমনি গাছের উপর থেকে দুয়ো দিয়ে বললে, ‘বেশ হয়েছে, খুক S ०९