পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামনে আর ডাইনে-বায়ে তিন টু বসিয়ে দিলে। খটাশ-খটাশ করে তিনটে হাড়িমুখে হাড়খেগো হেঁড়েলের মাথার খুলি কেটে চৌচির হয়ে গেল ! ঠিক সেই সময় বাইরে দাড় করে ঝড়বৃষ্টি नॉभव्य - শিল পড়ে তড়বড় ঝড় বহে ঝড়ঝড় হড়মড় কড়মড় বাজে —ঘন-ঘন ঘন-ঘন গাজে । ঝঞ্চনার ঝঞ্চনি বিদ্যুৎ চকচকি হড়মড়ি মেঘের ভেকের মকমকি ঝড়ঝড়ি ঝড়ের জল ঝরঝরি তড়তড়ি শিলার জলের তরতরি ঘুটঘুট আঁধার বজ্রের কড়মড়ি সাই-সঁাই বাতাস শীতের থরথরি। ভেড়াগুলো কুবরী-কুবরী বলতে-বলতে এ ওর মুখের দিকে ফ্যাল-ফ্যাল করে চেয়ে আছে, এমন সময় ঝড়ে একখানা" পাথর খসে গুহার মুখটা একেবারে দরজা হয়ে কত বড়ো যে হয়ে গেল তার ঠিক নেই! ঝড় থামলে সেই খোলা পথে সকালের আলো এসে গুহার মধ্যে সবাইকে জাগিয়ে দিলে । চকা সেই আলোতে ডানা মেলে রিদয় আর খোড়া আর কাটচাল আর নানকৌড়িকে নিয়ে হাড়গিলের চরে যেখানে আণ্ডামানি লালসের হাসদের বড়ো দলটা নিয়ে অপেক্ষা করছে, সেই দিকে চলল । ভেড়ার দল হঠাৎ কতকালের অন্ধকার গুহার মধ্যে দিনের আলো পেয়ে প্রথমটা অনেকক্ষণ ধরে হতভম্বের মতো আকাশের দিকে চেয়ে রইল, তারপর আস্তে-আস্তে পাহাড়ের উপর বুনো ভেড়ার দলে মিশে দিবিব চরে বেড়াতে লাগল। রাতের কথা, রিদয়ের কথা, হাসদের কথা কোনো কথাই তাদের মনে রইল না। তারা যেন চিরকালই বুনো ভেড়া এইভাবে সহজে খোলা আকাশের ఫిషెt