পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাপা দিয়ে বলে উঠলেন, ‘তস্মার মুখটা কেমন গোমসা দেখাচ্ছে-না। জিন্ম ।’ জিন্ম ধীরে মুস্থে উত্তর করলে, একটা সোনালী টয়ে মাঠের উপর দিয়ে উড়ে গেল দেখিছি, ওই ওদিকে- তন্মাটা আকাশে নাক তুলে কেবলি শুকতে লেগেছে, বনমুরগির গন্ধটা সত্যিই জিন্মার থালা থেকে আসছে কি না। কুঁকড়োর বুকের ভিতরটা বেশ একটুখানি গুরগুর করছে, এমন সময় দূর থেকে শিকারী সিটি দিয়ে তন্মাকে ডাক দিলে। তন্ম চলল দেখে কুঁকড়ে আর জিন্ম ‘রাম বলো’ বলে হাফ ছাড়তেই চড়াইট ডাক দিলে, ‘বলি তন্ম ।’ ‘করে কী।’ বলে কুঁকড়ে তাকে এক ধমক দিলেন, কিন্তু চড়াইট আরো চেচিয়ে বলে উঠল, ‘বলি, ও তন্ম ।’ তন্মার গোমস মুখ আবার বেড়ার উপর দিয়ে উকি দিলে। কুঁকুড়ে রেগে ফুলতে লাগলেন, চড়াই তন্মাকে বললে, ‘খুজে খুজে নারি যে পায় তারি ? তন্ম। শুধোলে, ‘কী খুজে দেখি, বলে। তো ভাই ? "চটপট তোমার ফোগল। গালের চির-খাওয়া দাতটি ’ বলেই চড়াই সট করে নিজের খাচায় ঢুকল ; চোপরাও বলে তন্ম সে তল্লাট ছেড়ে চোচা চম্পট । منها ডালকুত্তোটা মাঠের ওপারে চলে গেছে। কুঁকড়ো সবাইকে অভয় দিয়ে ঘরের মটকা থেকে হাক দিলেন, ‘ত-ত-তফাত গিয়া ।” অমনি সে-মোনালিয়া বাক্সের মধ্যে থেকে বেরিয়ে উঠোনময় নেচে বেড়াতে লাগল যেন আলোর চরকিবাজি । কুঁকড়ে তার সেই ঝকঝকে রূপ দেখে ভারি খুশি হযে মনে মনে বললেন, আহা এমন পাখিকেও কেউ গুলি করে। এর দিকে বন্দুক 'কর, আর একটি মানিকের পিছমে ভূগি করা একই। মোনালির কাছে আস্তে ২৩