এক ভাবা ভুল, এদের মধ্যে কোনো দল তারা ভাদর সভ্য-ভব্য কাক, ছোলাকলা চিংড়িমাছটা জাসটা আর বামুনের মতে মরা জানোয়ারের শ্রান্ধের ফলার খেয়ে দিন কাটায়, আর একদল কাক তারা যা তা খায় বাছবিচার নেই, পাখির ছানা খরগোস ছানা খেয়েই এরা মুখ পায় । কোনো দলের পেশাই হল লুটতরাজ চুরি চামারি খুনখারাবি . এদের জ্বালায় পাখির বাসায় ডিম থাকবার যো নেই, বাইরে কিছু চকচকে জিনিস রাখবার উপায় নেই। আমসত্ত্ব শুকোতে দিলে এর খেয়ে যায়, কাপড় শুকোতে দিলেও টেনে ছেড়ে, ছেলের হাতের মোয়া কেড়ে খায়, বুড়োর পাকা মাথার ঠোকর বসায়, চালের খড় টেনে ফেলে, ভাতের থালায় ছো দেয়, এমনি নানা উৎপাত করে বেড়ানোই এদের কাজ । কাকেদের ডাকনাম শুনলেই বোঝা যায় কোন দল কেমন – যোমকাকের বংশ তারা হল ডোমকাক, এদের সবাই ভয় করে । মড়া জানোয়ার নিয়ে ছেড়াৰ্ছেড়ি মারামারি এদের কাজ। তারপর খাড়িকাক বা দাড়কাক –এর পুরোনো চালের, কাক যখন কোকিলের মতো গাইতে পারত তখন লোকে এদের পুষে দাড়ে বসিয়ে-বসিয়ে ছোল খাওয়াত। সেই থেকে এর নানা বিস্তেতে কৌশলে কারিগরিতে মজবুত বলে সব কাকই দায়ে পড়লে এদের পরামর্শ মতো চলে। তারপর, ঝোড়োকাক —এরা এক কালে সব চেয়ে সাহসী বড়োই নামজাদা রাজবংশ ছিল, এখন বিষ হারিয়ে চোড়াকাক হয়ে পড়েছে কাজেই চুপচাপ থাকে সন্ন্যাসীর মতো। পাতিকাক হল পাণিকাকের বংশ, এরা সব দলেই আছে কিন্তু কোনো দলেই এদের পোছে না, পুকুরপাড়ে এরা গুগলি শামুক এটাে-কঁাটা খেয়েই দিন চালায়। শ্বেতকাক –এর আসলে দিশি কালে কাকেরই বংশ কিন্তু রঙ বদলে শাদা বিলিতি কাক হতে যাচ্ছে – এদের কারু গল শাদা, কারু ডান শাদী, কারু মাথা শাদা, এখনো দোরঙা আছে বলে এদের নাম ছিটেকাক হয়েছে । фо е
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১২
অবয়ব