পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাদাশ্বশুরের ঘড়ি গোবিন্দ ঘোষের আদরের নাতনী, পুলিয়ার খাস খামারের গোয়ালিনীর তিনি, মেজাজ কিছু শৌখিনী। তিনি লোকটি ছিল ভালো, সইতে পারত কথা তিক্ত, অতিরিক্ত মেজাজ খোস ঐ ছিল তার দোষ। গোয়ালিনী করলে রোষ, পুলিয়ার দেলখোসবাগের হাওয়ায় দিয়ে দোষ খালাস হতেন গোয়ালিনীর তিনি। চাকরান বড়ো ছামের শেষে, গোয়াল-পাড়া ঘেযে, গোবিন্দ গোয়ালার বহুকালের পাকা-ভিটে, তারি অধিকারিণী গোয়ালিনী – সব ভালো তার, মেজাজ শুধু খিটখিটে। বিয়ের আগে ধরা পড়েনি এইটুকু জেনে ম্রিয়মাণ হন যখনি গোয়ালিনীর তিনি –ভালো পান ভালো বিড়ি, শেষে ভালো তাড়ি হতে তাড়াতাড়ি মারামারি হট্টগোলের দলে ভিড়ে খোস মেজাজে অনেক রাতে বাড়ি-মুখে৷ হন কোনমতে পথ চিনি, এমন ঘটে প্রায় প্রতিদিনই। গোয়ালিনী বলে, ঘড়ি দেখো, বেজেছে কয়ট । গোয়ালিনীর তিনি বলেন, দাদাশ্বশুরের আমলের পুরোনো ঘড়ি, ওর কি চোখ আছে না কান আছে ? বাজাতে দে কানের কাছে – বাজাতে চায় যে কয়টা। খিদে লেগেছে, দে লুচি ভেজে, মেখে ঘি ময়দা । কথায় কথায় লাগে বচস দু-জনাতে। রাতে-রাতে বচসাতে রাত প্রায়ই হয় ফরসা। ভয়স বাথানে শব্দ দেয় মহিষ কয়ট । ঘড়িও বাজায় ভোর ছয়টা। গোয়ালিনী বলে, যাই, দুধ পৌছাই রাজবাড়ি। গোয়ালিনীর তিনি বলে, তা যাও, কিন্তু আসতে চাও তাড়াতাড়ি —জোলাপাড়ায় ওরা বুনেছে যা খাস শাড়ি, এক জোড়া গুলবাহারি —হাতছাড়া হয়ে না যায়। গোট কয় টাকা বার করে বায়ন দিয়ে আসি তাড়াতাড়ি। Wood: