পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুট । আটটায় ঘুট। আটটায় ফুট। ঘুট ঘুটে রাতে। যুট ঘুটে রাতে। . রাতের আঁধারে বাদুড়গুলো জাদুকরের হাতে তাসের মতো একবার দেখা দিচ্ছিল আবার কোথায় উড়ে যাচ্ছিল। বেড়াল, পেচাকে শুধলে, বাদুড় তো আমাদের দলে বটে। পেচা বললে, ই নিশ্চয় । ছুচো ইহুর ? 'ই তারাও। বেড়াল বাড়ির দরজা আঁচড়ে বললে, “পিউ পিউ পিউ। দিয়ে৷ পিউ আটটায় ঘড়ি দিয়ে দিয়ে দিয়ে । পেচা শুধলে, ‘ঘড়িটাও এ দলে নাকি ৷ বেড়াল উত্তর করলে, ‘নি-শ-চ-য়। নিশাচর সবাই এ দলে ; তা ছাড়া দিনের বেলারও দু-চার জন আছেন। পেরু আর দু-চার জন উঠোনের এককোণে লুকিয়ে ছিল, আস্তে আস্তে বেরিয়ে এল। পেরু শোধালে, "ড্যেবা চোখ, চাকা মুখ । সব ঠিক তো ' উত্তর হল, অন্ধকার থেকে —‘হাঃ হাঃ হাঃ। সব ঠিক, ঘুটটা ঠিক, এ পাড়া ঠিক, ও পাড়া ঠিক । তাল-চড়াই মনে মনে বললে, ‘সেও যাচ্ছে ঠিক ? কুকুর এমন সময় গা-ঝাড় দিয়ে বলে উঠল, ‘কে ও অমনি সব নিশাচরগুলো চমকে উঠে এদিক ওদিক চাইতে লাগল। বেড়াল ভাদের সাহস দিয়ে বললে, ও কিছু নয়, বুড়িটা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বকছে। কিন্তু এবার কুঁকড়ো যেমন একটু গা-ঝাড়া দিয়ে সাড়। দিয়েছেন, কি-ই-ও। অমনি সব নিশাচর –পেচ, বেড়াল, এমনকি, পেরু পর্যন্ত ওইগো বলেই পালাই পালাই করতে লাগল। পেরু, তিনি পালানোই স্থির করলেন, তার গলার থলি থেকে পা পর্যন্ত ভয়ে কঁপিছিল ; বেড়ালের যেন জ্বর এসে পড়ল, পেচাগুলো চোখ বুজলেই অন্ধকারে মিলিয়ে যাবে জানে, তারা অমনি খপ করে চোখের পাতা বন্ধ করে ফেললে একসঙ্গে সব জলস্ত, চোখ নিভে গেল। রাত্রি যে অন্ধকার সেই অন্ধকার। কুঁকড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে চড়াইকে শুধলেন, কারা যেন ফুসফাস করছিল না ? C)을