পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিখছিস পরের বাকি যায়, আপনার দিন যায় তোর ঠিকানা নাই সে দিকে। —কিরে ছিরিপদ। থিয়েটারে গেছিলি নাকি ? —আরে না, অবনীবাবুর ওখান থেকে আসছি। খাতাঞ্চি‘মহাশয়ের চিঠির জবাবে এই গানটা দিলে, তাই মুখস্থ করে নিচ্চি। —বাবু বুঝি চিঠির জবাবটা লিখে দিতে পারলেন না ? —না, বললে মুখে মুখে জবাব নিয়ে যাও ; এখন আমি ছবি লিখতে ব্যস্ত আছি । —তুই গেছলি ঠাকুর বাড়িতে, কেউ রুখলে না ? —না সোজা চলে গেলাম । —তারপর ? —তারপর শুনলেম ঠাকুর গেছলেন একটু আগে বোগদাদে, এখনই ফিরলেন । —গেল আর ফিরল ? বোগদাদ কী এখানে যে— —আরে শোন না, ঐ কথাই আমি একজন ঠাকুরদাসকে শুধতে সে বললে আজ-কাল ঠাকুরমশাইকে হাজার দাস্তার ছবির জন্তে রোজ রোজ দৌড়তে হয় ইরান, তুরান, বাসরা বোগদাদ । খালি ঘুমোতে আর খেতে আসেন বাড়ি দিনে দু-তিন বার। —বলিস কি আঁ্যা ? —বলি শোন না, আমাকে তো ঠাকুরদাস তার নিজের ঘরে বসিয়ে বললে, পান খান । বিড়ি কি সিগারেটের নামও করলে না। বসে আছি, দেখি একটা বৰ্মা এনে দিলে। চেয়ে দেখছিলেম বৈঠকখানা বাড়ি পুরোনো ঝরঝরে ভাঙাচোৱা। যেমন বর্ম ধরিয়ে একটান দিয়েছি টেক্কামার্ক জেলে অমনি সব ধদলে গেল। ছেঁড়া মাত্র হয়ে গেল মখমলের গালচে । ঘরটা একেবারে শিশুমহল বাদশাই কেতার। আবু হোসেনের মতো হকচকিয়ে গেলুম। ঠাকুরদাস তখন আর দাস নেই, একেবারে 8ግ8