ফাস্ট টু লাস্ট ফেক্টরির গায়েই ইস্কুল-বাড়িটা পাড়ার পাঁচ জনের চাদায় চলে এসেছে। দরোজায় সাইনবোর্ডে বড়ো বড়ো করে লেখা রোম্যান টাইপে –মামাসি ইন্সটিটিউট। রোদে জলে পুড়তে ভিজতে লেখাটুকু প্রায় ঝাপসা হয়ে এসেছে, যেন স্তেতা-মোছা সেলেটের উপর পেনসিলের আঁচড়-কটা দেখা যায়। সেইখানে লাস্ট বয় পড়ে, পড়ে বললে ঠিক হবে না, পড়ে আছে ভর্তি হয়ে অবধি লাস্ট বেঞ্চিতে । হঠাৎ একদিন লাস্ট বয়ের ভাগ্য ফিরে গেল। বস্তুর-কি-পরীক্ষা সামনে, দিন এগিয়ে আসছে, আর সে ভাবছে কোনো রকমে ‘সিক' হয়ে পড়ে ফঁাড়া কাটাবার উপায়। এমন সময় কোনো খবর না দিয়ে স্বয়ং ইনিস্পেকটর এসে হাজির ৷ চৌকি নিয়েই আর কথা না, পরীক্ষা শুরু । প্রশ্ন হ’ল— ইজী-রিডার, মোক্তব-উল-নোক্তা, ঋজুপাঠ কেমন লাগে ? তোমার –তোমার –তোমার ? উত্তর হয়ে চলল, বেশ লাগে স্তার, খুব ভাল। এমনই ধাপে ধাপে প্রশ্নটা এর-ওর-তার যেন কাধে ভর দিয়ে গড়গড়ি নেমে আসতেই লাস্ট বয়ের কাছে উত্তর হ’ল –গুরুভার স্যার । গুরুমশায়ের মুখ ফসকে ‘বেদড়া কথাটা বেরিয়েই ফিরে তলিয়ে গেল। : ইনিস্পেকটর বললেন, বেশ, তোমার মতে শিশুশিক্ষণ কেমন হওয়া চাই বল তো ? আজ্ঞে, যেমন বোঝার উপর শাকের অঁাটি । এখন কেমন আছে শুনি ? যেন ধোপার মোট উলটে ফেলেছে পালং শাকের ক্ষেতে । তুমি ছবি লিখতে পার ছোকরা, ভয় নেই দাও। t & 8b f
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬০
অবয়ব