পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহিত্র ভাদ্রমাস কাবার করে চাইবুড়ে এসে পুথিপাঠ শুরু করলেন— ‘শিবরাত্রির সলতে জ্বলতে না জ্বলতে কুম্ভকর্ণের দুটো ছানা হয়ে লেগেছে চলতে আর বলতে ।” ছেলের কান্নায় রাক্ষসপাড়ায় সবাই করছে নিশি জাগরণ । কুম্ভকর্ণ কেবল ঘুমে অচেতন —নাক-ডাকা চলছে যেন ঢোল আর ট্যাটরা পড়ছে। বিরাশি বুড়ি বলছে —‘ওলো কুম্ভকর্ণ, ওউ কুম্ভকর্ণের বউ, তোদের ছানা তুটো চিল্লাচ্ছে যেন ফেী—কর্ণ বধির করলে যে ’ পিলখানার আতুড়ঘরে গোমুণ্ডে জোড়া বাতি ধরে নিশিন্দিবুড়ি বলছে —‘ওগো দেখগে তোমরা, জোড়াকাত্তিক মউরের লেগে কাদছে ? রাবণ আর কালনিমি মাম। আসতে নিকষি বুড়ি বলছে —‘বাবা রাবণ, এদের বাপ তো ঘুমে অচেতন। একজোড়া নাত্তিকের মউর এনে তুমি এখন ওদের ভোলাও, নাহলে বায়া তবলা চাপড়াতে চাপড়াতে আমার হাতে ফোস্কা পড়ল । রাবণ কালনিমি মামার দিকে চেয়ে বলছেন –‘মউর কোথা পাই भाभ? —‘কাত্তিকের মউর, সে তে কাত্তিকের শেষাশেষি শরধনে উড়ে পালিয়েছে ; একই জাত মোরগ আর মউর, অই ফুটে ধরে দাও — আপদ চুকে যাক। &qన