—‘বাবা, এ বুদ্ধি কে ঢুকালে মাথায় তোমার ? —‘কেন মামা, ময়দানব আমার শ্বশুর ' —’বুঝেছি, জামাতার প্রতি শ্বশুরের মমতা প্রচুর ' যেখানে যত তক্ত, ভাড় আর কলসি ছিল দড়াদড়ি দিয়ে বেঁধে রাবণ বললে –‘মামী দেখ আর কী, উঠে পড়—একে বলে বহিব্র ” —“তা বুঝেছি, চল উঠি । কুড়ি হাতে জল কাটতে শুরু করলে রাবণ, তেজে চলল বহিব্র । মামা মাঝির জায়গায় বসে ভাটিয়ালি গীত ধরলেন – ‘বাবা, বহে চল বহিব্র কুড়ি হাতে দেখ ফুটা না হয় কলস কটাতে মাঝ-দরিয়াতে অত্র !" —“সে কী মামা !’ বলে রাবণ যত বাকি টান দেয় ততই গান বার হয় মাম’ল – "বাঃ বা কী বহিএই বানিয়েছে শ্বশুর অতি বিচিত্র ছারপোকা একরত্তি, চলল সাগর তরতি তাউস শিকারে মউব তক্তি চিত্র সুচিত্র ॥’ রাবণ আহলাদে তিন বাকি দেওয়াও যেমন, মউর তক্তি অমনি সমুদ্রের ঢেউকে গোজা মেরে শরবনে ভীষ্মের শরশয্যায় কাত হয়ে পড়ল –মামা ভাগনেকে নিয়ে। ‘কালনিমি কার্দায় লুটোপুট, গা ছড়ে রক্তপাত ; রাবণকে ডেকে বললেন— বাপ মাতৃভক্ত, এখন কী করা যায় ? তুমিও মরলে মারলে মামায়।’ (t\9) অ, ৩য়—৩৬