—’বুঝবে বুঝবে, আর একটু বড়ো হও বুঝিয়ে দেব। এখন গল্প শুনবে তো তল্প নাও, জল্পনা রাখ, কল্পনা কর –অল্পসল্প ' —‘কল্পনা করতে তো আমি জানিনে টাইদাদা ? '–'ত ঠিক, তুমি যে আজকালকার ছেলে—হিষ্টিরি পড়ে কখনো কেউ কল্পনা করতে পারে ? —“তবে !' —তবে আবার । ছাখে অবুবাবু এই আমি সেকালের বুড়ো— হিস্ট্রিরি-পড়া মানুষ নয়, তাই কল্পনা করতে আমার ঠেকে না একেবারেই।’ —‘চাইদাদা, তোমার কথা শুনতে শুনতে আমার ঘুম পেয়ে এল ? —বুম পায় ঘুমোবে ; কিন্তু খবরদার হাই তুলে না—তাহলেই আমার কল্পনা আর চলবে না, রাস্তার মাঝে পা পিছলে একদম আলুর দম হয়ে যাবে। —তখন কী করবে অবুবাবু ? —‘মুখে ভরে দেব ছুট্ মাসির ঘরে ? —‘বটে বটে, তুমি আমারই একজন বটে —কল্পনা করার শক্তি আছে দেখছি তোমার কিছু-কিছু ? —‘শোনো তবে বলি।” সেকালের পাণ্ডববর্জিত দেশের একটা বুড়ো শকুনি করেছে তাড়া এক বাজপাখিকে ধরবার মতলবে । বাজপাখি সড়াৎ কবে সাদা কালো ডানায় ঝিলিক টেনে তো হোক অদৃশু ; শকুনি শূহো শূন্যে তিন-চারটে মস্ত চক্কর খেয়ে উড়ে বসবি তো বোস, ভূচুর রাজার ঘরের মটকায় ; বসেই তো বাছতে লেগেছে বুড়ে শকুন ডানার উকুন। এদিকে রাজবাড়িতে সোরগোল পড়ে গেছে । —কী পোলোরে চালে, কী পোলো । চিল পোলো না শিল পোলো নাইট পোলো রানীর চাকরানী পুকুরঘাটে বাসন মাজছিল। সে বলে উঠল —চিল পোলে৷ গো চিল পোলো ! ¢ዓ ©
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮২
অবয়ব