বার হয় না আপুনাকে অতি দীন অতি হীন ব’লে চালিয়ে যেমনি দিন এল বলে অমনি আলোর ফুল বলে চেচিয়ে উঠে ঝোপ বুঝে কোপ মেরে যাওয়া যার-তার কর্ম ।’ রাগে কুঁকড়োর দম বন্ধ হবার জোগাড় হচ্ছিল, তিনি অতি কষ্টে বললেন, ‘থামো, চুপ। চড়াই ছ-পা পিছিয়ে গিয়ে বললে, “আচ্ছ, সত্যি কি তুমি জান না যে দিন-রাত যে আসে সেটা একটা প্রকৃতির নিয়ম ছাড়া আর কিছু নয় ? কুঁকড়ে বললে, ‘তুমি জানতে পার আমি জানি নে। আর যাই নিয়ে ঠাট্টা কর, করে, এ কথা নিয়ে আর কোনোদিন তামাশা কোরো না যদি আমার উপর তোমার একটুও মায়া থাকে।’ চড়াই মুখে বললে, খুব মায়া খুব শ্রদ্ধা সে কুঁকড়োকে করে কিন্তু তবু খোচা দিয়ে ঠেস দিয়ে কথা সে বলতে ছাড়ছে না, তর্কও করতে চায় | . কুঁকড়ে রেগে বললেন, কিন্তু যখন আমি ডাক দিতে সূর্যই উঠল আলো হল, সে আলো পাহাড়ে পাহাড়ে ছড়িয়ে গেল, আকাশে নানা রঙ ধরলে তখনো কি একবার তোমার মনে হয় না যে এ-সব কাণ্ড করলে কে। চড়াই বললে, গামলায় গর্তটা এমন ছোটো যে সেখান থেকে আমি কেবল একটুখানি মাটি আর তোমার ওই হলুদ বরন চরণ স্থখানি দেখেছিলেম, আকাশটা কোথায়, তা খবরেও আসে নি।’ কুঁকড়ে বললেন, ‘তোমার জন্য আমার দুঃখু হয়, আলোর মর্ম বুঝলে না, তুমি যে তিমিরে সেই তিমিরেই থাকো অত্যন্ত চালাক পাখি।” - চড়াই জবাৰদিলে, বেশ কথা, অতি বিখ্যাত কুঁকড়ে । কুঁকড়ে বললেন, বেশ কথা, যে থাকবার থাক, আমি যেমন চলেছি সূর্যের দিকে মুখ রেখে তেমনিই চলি দিনরাত এই পাখি-জন্ম সার্থক করে নিয়ে। চড়াই জান, বেঁচে সুখ কেন তা জান ? స్క్రితీ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৮
অবয়ব