নিয়ে বসিয়ে ওদিকে চলে গেলেন। সোনালি শুনতে লাগল। বোলতার সব ফলন্ত গাছকে ঘিরে ঘিরে মোচ বাজিয়ে গাইছে, সোনা-ফলের গান, হুল রাগে । গান মন ভুলে গুঞ্জরি – মুঞ্জরি মুঞ্জরি। বাতাসে গুঞ্জরি, আকাশে মুঞ্জরি। ফুলে বউল গোছা গোছা, ফলে মউল গাছে গাছে, আমরা বলি গুঞ্জরিয়া — শেষ সবারই আছে আছে। সবজে পাতার কলি, সোনালি ফুলের মধু বঁধু ওগো বঁধু— ফুলের মঞ্জরি । আমরা গুঞ্জরি । ফুল ঝরে, ফল ঝরে, কুঁড়ি ঝরে, কলি ঝরে, মন ঝুরে গুঞ্জরি – মঞ্জরি মঞ্জরি । শুধু যে বোলতারাই গাইছিল তা নয় ; ভোমরা, মৌমাছি, গঙ্গাফড়িং সবাই দলে দলে বাছি আর গান জুড়ে দিলে। চিনি-দিদি গড়ের মাঠের বান্তি যত দল, তা ছাড়া কালোয়াতি কঁ ন বাউল সব রকম জোগাড়ই করেছিলেন। কেবল চুনোগলির ব্যাঙটা তিনি জোগাড় করতে পারেন নি। আর সেইজন্তে তিনি সবার কাছে বার-বার দুঃখু জানাতে লাগলেন। কালো-কোট সাদা-কামিজে ফিটফাট কাক দরজায় দাড়িয়ে মোড়লি করে এর-ওর-তার আলাপপরিচয় করে বেড়াচ্ছেন —ইনি রাজহংস, ইনি হংসেশ্বরী, তুরস্কের পেরু, ও-পাড়ার চটসাই চড়াইমশায় ইনি আমাদের। সোনালি চড়াইকে ধুলোমাখা, কেমন হতভাগা-গোছের চেহারায় আসছে দেখে শুধলেন, ‘কোনো অসুখ হয় নি তো!’ চড়াই সোনালিকে ফুলের টবের ইতিহাস বলতে সোনালি হেসেই অস্থির । সোনালি আর VHථ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭১
অবয়ব