বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুব জানি। এক কুকুর ছাড়া আর কাউকে আমি ডরাই নে। ঘরে যাও, ঠাণ্ডা লাগবে। —ব’লে সোনালি আস্তে ডানার ঝাপটা দিয়ে খরগোশকে বিদায় করে কুঁকড়োকে বললে, আমি একবার গোলাবাড়ির দিকে যাচ্ছি।’ কুঁকড়ো ব্যস্ত হয়ে বলে উঠলেন, ‘কেন। কেন । সেখানে কেন । ও-দিককার কুকুরগুলোকে একটু দৌড় করিয়ে আসি । এই এক-পা এখানে, এক-পা ওখানে, যাব আর আসব, দেরি হবে না ? সোনালি চলে গেল, কুঁকড়ে অনেকক্ষণ সেদিকে চেয়ে থেকে, গাছের উপর কাঠঠোকরাকে শুধালেন, ‘সোনালিকে দেখতে পাচ্ছ কি। কাঠঠোকরা উচু ডাল থেকে গলা বাড়িয়ে দেখে বললেন, 'না, তিনি গেছেন। কুঁকড়ে বললেন, ‘তুমি ভাই, একটু নজর রেখে তো, সে আসছে কি না। আমি একবার গোলাবাড়ির চড়াইটার সঙ্গে কথ। কয়ে নিই।” কাঠঠোকরা আশ্চর্য হয়ে ব’লে উঠল, চড়াই না তোমার শত্রু ? কুঁকড়ে বললেন, কিন্তু খবর দিতে আর তার মতে দুটি নেই। খবর যা চাও, তার কাছে পাবে।’ o ‘চড়াই আসছেন নাকি ’ কাঠঠোকরা শুধলে । কুঁকড়ে বললেন, না। এই দেখে-না তাকে ফো করি। এই যে নীল ধুতরো ফুলটা দেখছ, এর সঙ্গে মাটির মধ্যে দিয়ে তারের মতো সরু শিকড় দিয়ে গোলাবাড়ির পুকুরধারে শ্বেত ধুতরে ফুলের যোগ আছে। ফুলের ভাষা বলে কবিতার বইয়ে পড়েছ তো । একেই বলে ফুলে-ফুলে কানাকানি । বনের মধ্যে যে এমন কল আছে কাঠঠোকরা তা জানত না । ফে কেমন, দেখতে সে ব্যস্ত হল। কুঁকড়ো ফুলের মধ্যে মুখ দিয়ে ডাকলেন, ‘হ্যালো। খানিক ঘর ঘর শব্দ হল। — ‘হ্যালো চড়াই। গোলাবাড়ি। কাঠঠোকরা বলে উঠল, ‘কুঁকড়ো ভাই, তোমার তো সাহস কম নয়। বাসার একেবারে দরজায় দাড়িয়ে কথা-চালাচালি । সোনালি টের পেলে – ' br"