মহারান সভায় বসে আছেন, পৃথ্বীরাজ মালোয়াকে বন্দী অবস্থায় নিয়ে উপস্থিত। সবাই দেখে অবাক হয়ে গেল ! সেই সময় একজন পৃথ্বীরাজের চর দূতের ঘাড় ধরে এনে বললে, ‘শিখে নাও মহারানার সঙ্গে কেমন করে কথা বলতে হয় —তোমার নিজের দেশের রাজার কাছে। দূত থরহরি কঁপিতে লাগল ; তার কপাল বেয়ে কালঘাম ছুটল। মহারানা ব্যাপার বুঝে খুব খাতির করে মালোয়াকে নিজের কাছে বসালেন, তারপর কিছুদিন চিতোরে আরামে থাকার পর মালোয়ার রাজা আর রাজদূত দুজনেই ছুটি পেয়ে দেশে গেলেন। এই ঘটনার কিছুদিন পর রানার আত্মীয় সারংদেব আর মুরজমল দুজনে মিলে হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন। পৃথ্বীরাজ তখন অনেক দূবে –কমলমীরে , সওয়ার খবর নিয়ে সেদিকে ছুটল – মহারানা দলবল নিয়ে চটপট লড়াইয়ে বেরিয়ে গেলেন। সদরী, বাটেরা, নায়ি আর নিমচ ; এর মধ্যে যত পরগণা সমস্ত দখল করে চিতোরের খুব কাছে গাভিরী-নদীর ওপাবে সুরজমল এসে দেখা দিলেন প্রকাণ্ড ফৌজ নিয়ে। সেইখানে ভীষণ যুদ্ধ বাধল। রানার ফৌজ ক্রমেই হঠতে লাগল। সন্ধ্যা প্রায় হয়, বাইশটা অস্তরের ঘা খেয়ে মহারানা দুর্বল হয়ে পড়েছেন, সুরজমলের সৈন্যরা নদীর এপারটাও দখল করেছে, বিদ্রোহীদের আর ঠেকিয়ে রাখা চলে না, এমন সময় এক হাজার রাজপুত নিয়ে পৃথ্বীরাজ এসে পড়লেন ; যুদ্ধ সেইদিনের মতো স্থগিত রইল। দুই দলের লড়াই বন্ধ রেখে যে যার তাবুতে বিশ্রাম করছে, মাঠের দিকে-দিকে মশাল আর ধুনি জলছে, সারাদিনের পর সুরজমল অনেকগুলো তাস্ত্রের চোট খেয়ে নাপিত ডেকে কাটা ঘাগুলো ধুয়ে-পুছে পাটবেঁধে একটু বিশ্রামের চেষ্টায় আছেন, এমন সময় হঠাৎ সামনে পৃথ্বীরাজকে দেখে স্থরজমল খাটিয়া ছেড়ে এমন বেগে দাড়িয়ে উঠলেন যে, তার বুকে বাধা কাপড়ের পটিটা ছিড়ে ঘা দিয়ে রক্ত ছুটল। পৃথ্বীরাজ তাড়াতাড়ি খুড়োকে ধরে খাটিয়াতে শুইয়ে দিয়ে বললেন, ভয় নেই, কেমন আছ তাই জানতে వ చి వె
- {、ミー>8