পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যায় না। পূবদিক থেকে ভোরের বাতাস একটু-একটু আসছে ; ভূতগুলো হাওয়া পেয়েই যেন জড়োসড়ে। আমি কিন্তু বেশ আরামে পালকিতে দরজা খুলে ঘুম দিতে-দিতে চলেছি। ভোর হয় দেখে ভূত-বেহার চারটে ভয় পেয়েছে, কিন্তু রামচণ্ডীতলায় আমাকে পৌঁছে দিলেই তাদের ছুটি এই ভেবে তাদের একটু আহলাদও হয়েছে। চার ভূত চার মুরে চিচি, পিপি, খিটখিট, টিকটিক করে গান গাইতে-গাইতে চলেছে— ঠিক যেন কত দূর থেকে চিল ডাকছে, আর কোলব্যাঙ কটকট করছে। ঘুমের ঘোরে শুনছি যেন কুহু কেকা’র ঠিক সেই পালকির গানটা ! কিন্তু কথাগুলো সব উলটোপালটা আর সুরটাও বেখাপ্পা বেয়াড়া— বেজায় ভূতুড়ে। কেবল হাড় খটখট, দাত কিটমিট, গোঙানি আর কাতরানি শুনে যে গায়ে জর এল ! ঘুমিয়ে আছি কিন্তু তবু শুনছি : চলে চলে হুমকি তালে পংখী গালে মাসিপিসি বাঘবেরালে । ভূতপেরেতে চলেছে রেতে হনাহনিয়ে ভূতপেরেতে । পালকি দোলে উঠতি আলে নালকি দোলে নামতি খালে さミふ