বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলেখ্য হিন্দুস্থানের বাদশা জাহানগীর একদিন ইংলণ্ডেশ্বর প্রথম জেমসের রাজদূত রো সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন “সাহেব, ফিরিঙ্গির মুল্লুক আমার হিন্দুস্থানের কাছে কোন বিষয়ে বড়ো” ? সাহেব তখন অনেক দিন এদেশে কাটাইয়াছেন ; হিন্দুস্থান সম্বন্ধে যে ভুল বিশ্বাসটুকু লইয়া তিনি প্রথমে এখানে আসিয়াছিলেন, দিল্লীর চাদনী চোঁকে এবং বাদশাহের খাসমজলিসে দুই-একবার যাতায়াত করিয়াই তাহার সে ভুল ভাঙিয়াছিল। এদেশের সোনার তঞ্জাম, হাতির হলকা, শিকারী চিতাবাঘ প্রভৃতি দেখিয়া বাদশাহকে ইংলণ্ডেশ্বরেব নিকট হইতে একটা ফিটন গাড়ি এবং এক জোড়া ভালো কুত্তা উপহার দিতে র্তাহাকে যে সবিশেষ লজ্জা পাইতে হইয়াছিল, এ কথাও তিনি মুক্তকণ্ঠে প্রকাশ করিয়াছিলেন ; কিন্তু তবু এদেশের কাছে বেলাত কিছুতেই হার মানিতে চাহিল না! সাহেব কোটের পকেট হইতে একখানি মেমের ছবি বাদশার সম্মুখে ধরিয়া দিয়া বলিলেন, “এমন তস্বীর হিন্দুস্থানে যতদিন না পাওয়া যায়, ততদিন বিলাতেরই জিৎ রহিল ।” খাস দরবারের এই ঘটনায় সমস্ত দিল্লী শহর যে-প্রকার বিচলিত হইয়া উঠিয়াছিল, কাবুল থেকে হঠাৎ একটা বিদ্রোহের সংবাদ আসিলেও সেরূপটা হইত কিনা সন্দেহ । আজ শহরে লোকের মুখে আর অন্ত কথা নাই! ঘরে বাহিরে, চৌরাস্তার মোড়ে, গলি ঘুজিতে সর্বত্র সেই একই কথা। পাশের দোকানের সামনে শৌখিন লোকেরা সেই বিলাতি ছবিরই কথা পেড়েছে, আমির ওমরাহের মজলিসে সেই কথারই তর্ক উঠেছে, রাস্তার চুড়িওয়ালী, একার গাড়ওয়ান, এমন-কি, জলের ভিস্তির পর্যন্ত ফিরিঙ্গীর এই স্পর্ধার কথা নিয়ে বলাবলি করিতেছে। যে দিল্লীর তসবীর \రిపివె