পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিরাফের কথায় গাধা ভীষণ চটে অভ্যাসমতো লাথি চালাতে যাবেন, এমন সময় ভালুক থামো থামো’ বলে এক ধমকে গাধাকে বসিয়ে দিয়ে নিজে বলতে শুরু করলেন— “ভাই সকল, একে এই কলকাতার দুরন্ত গরমে তিষ্ঠানো ভার, তার উপরে তোমরা সবাই যদি গবম হয়ে উঠে হাতাহাতি লাথালাথি কবতে থাকে, তবে তামাকে ও পুথিবীর শেষ বরফের দেশে ফিরে যেতে হবে, যাবার পূর্বে দু-চারটে চড কথা শুনিয়ে। বরফের দেশে হিমসিম তামি যথেষ্ট খেতে পাই, কেবল তোমাদের মুখ চেয়েই আমি কষ্ট করে— একরকম উপোস করেই— এখানে কাটাচ্ছি ; এখন সবাই যদি মানুষের মতো অগ্নিমূর্তি হয়ে এই সভার মধ্যেকার এবং প্রত্যেকের প্রাণের মধ্যেকার জমাট প্রেমের ক্ষীণ ধারাটি পর্যন্ত শুকিয়ে ফেলবার চেষ্টা করে, তলে ভালো হলে না বলছি।’ বরফের দেশের ভালুকের গল পেয়ে উত্তর তার দক্ষিণ সাগরের সীল মাছগুলে। কাপড়ে দেখে সিংহ চোপপ ও চলে ভালুককে থ।মিয়ে দিলেন । এই ফঁাকে রত শেয়ালট কখন গিয়ে বক্তার মাচায় উঠে জ কিয়ে বক্তৃত আরম্ভ করে দিলে। দু-এক কথায় শেয়াল সব জানোয়ারদের বুঝিয়ে দিলে যে, পশুপতিব যেমন ত্রিশূল, ইন্দ্রের যেমন বজ্র, প্রজাপতির যেমন কমণ্ডলু, তেমনি সভাপতির একটা অস্ত্র হচ্ছে ঘণ্ট, আর সেই ঘণ্টা একমাত্র ধর্মের ঘাড়ের লোতেই ঝোলানে দেখা যাচ্ছে, অতএব ষাড়ই সভাপতি হবার একমাত্র উপযুক্ত পাত্র। সর্বসম্মতিক্রমে যাড়ই গলঘণ্ট অর গলকম্বল তুলিয়ে সভাপতির আসনে গিয়ে বসলেন। ডালকুত্ত এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল, ঘণ্টার শব্দে হঠাৎ চাকে উঠে ভাবলে তাব মনিব অপিসের বাবুকে ডাকতে বুঝি ঘণ্টা দিলেন, অমনি কুত্তোটা কোই হ্যায় বলে হাক দিয়ে চারিদিক চাইতে লাগল। কুত্তোর রকম দেখে নেকড়ে-বাঘ একবার নাক সিটিকে মুখ ফেরালে। বেড়াল হাসের একটা কলম কেড়ে রাতের শিশিরে ভিজে গা একবার ঝাড়া দিয়ে, সটপট নোট নিতে লেগে ף לס