ছোটোদের পড়াতেন, প্যালেস্টাইন না কোথা থেকে এসেছিলেন। রবিকাকাকে বললুম, তাকেও নামিয়ে দাও। অভিনয়ে সাহেব আছে তার একটা মেমসাহেবও থাকবে, বেশ হবে । রবিকাকা বললেন, ও কী করবে। আমি বললুম, কিছু করবার দরকার কী, মাঝে মাঝে স্টেজে এসে অন্য অনেকের মতো ঘোরাফেরা করে যাবে । রবিকাকাকে বলে তাকেও নামিয়ে নিলুম। প্রতিমারা মেমসাহেবকে সাজিয়ে দিলে। আমি বললুম, বেশি কিছু বদলাতে হবে না, ওদের দেশে যেমন মাথায় রুমাল বাধে সেই রকমই বেঁধে একটু-আধটু সাজ বদলে দিলেই হবে। অভিনয় খুব জমে উঠেছে। আমি শ্রুতিভূষণ সেজে বাকী সাপের মতে লাঠি হাতে, তোমার দাদা মুকুলেরই দেওয়া সেটি, লাঠির মুখটা কেটে আবার সাপের মতো করে নিয়েছিলুম, সেই লাঠি হাতে ছেলেছোকরাদের ধমকাচ্ছি । ‘ওগো দখিন হাওয়া’ গানের সঙ্গে ছেলের খুব দোলনায় দুলছে । কেউ আবার উঠতে পারে না দোলনাতে, নেহাত ছোট, তাকে ধরে দোলনাতে বসিয়ে দিই। খুব নাচ গান দোল এই-সব চলছে। শেষ গান হল ‘সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে ।’ সেই গানে নানা রঙের আলোতে সকলের একসঙ্গে হুল্লোড় নাচ । আমি ছোটো চোট ছেলেগুলোকে কোলে নিয়ে পুথিপত্র নস্তির ডিবে হাতে, নামাবলী ঘুরিয়ে নাচতে লাগলুম। মেমসাহেবও নাচছে। রবিকাকার ভয়ে সে বেচারী দেখি স্টেজের সামনে আসছে না, সবার পিছনে পিছনে থাকছে । আমি তার কাছে গিয়ে এক হাতে কোমর জড়িয়ে ধরে স্টেজের সামনে এনে তিন পাক ঘুরিয়ে দিলুম ছেড়ে, মেমসাহেবের কোমর ধরে বল নাচ নেচে । অডিয়েন্সের হে হে শব্দের মধ্যে ড্রপসিন পড়ল । ‘ডাকঘর’ অভিনয় হবে, স্টেজে দরমার বেড়ার উপর নন্দলাল খুব করে আলপনা আঁকলে । একখানা খড়ের চালাঘর বানানো হল। তক্তায় লাল রঙ, ঘরে কুলুঙ্গি, চৌকাঠের মাথায় লতাপাত, ঠিক যেখানে যেমনটি দরকার যেন একটি পাড়াগেয়ে ঘর। সব তো হল । আমি দেখছি, নন্দলালই সব 奪 >やり●
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৮০
অবয়ব