পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুদের রবীন্দ্রনাথ আমরা সবাই তখন খুব ছোটাে। তখন সব ছেলে মিলে মাথা খাটিয়ে একটা ইস্কুল-ইস্কুল খেলা বার করা গেল। তাতে আমরা সকলে ভর্তি হলুম। সেই ইস্কুল বসত, দেউড়ি থেকে দরোয়ানদের বেঞ্চিগুলো টেনে নিয়ে গিয়ে আমাদের বাড়ির পুবের রাস্তাতে । সে ইস্কুল-খেলায় দীপুদা মাঝে মাকে মাস্টার হয়ে এসে বসতেন । নীচে খেলা হয়। রবিকাক থাকেন তার বাড়ির উপরের বারান্দায়। মাঝে মাঝে উকি মেরে খেলা দেখেন । মাঝে মাঝে মাস্টারের কাছে ছুটি নিয়ে জল খাওয়া হত। খেলা ভাঙলেই ফিরিওলার কাছ থেকে ছোলা-ভাজ কিনে খাওয়ার ধুম পড়ে যেত। এইরকম, রোজই চলে। তারপর পরীক্ষার সময় এসে পড়ল। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হলে প্রাইজ দেবে কে? ভেবে-চিন্তে রবিকাকাকে নিমন্ত্রণ করা হল, প্রাইজ দেবার জন্মে। সেই প্রথম আমাদের রবি কাকার সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যোগ । তারপর বড়ে হলুম। তখুন আর রবিকাকার সঙ্গে ছোটে-বড়ো ভাব নেই। উনি লেখক, আমি মুর্টিন্ট, এস্রাজ বাজাই। সেই সময় উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এসে জুটলেন, তিনি মেতে থাকতেন হাফটােন ব্লক নিয়ে। ছবি ছাপা নিয়ে তার সঙ্গে পরামর্শ হত। কথা উঠল, শিশুদের জন্য কিছু করা যাক। রবিকাকার মাথায় প্রথম এল, একটা সিরিজ বার করা যাক। নাম দেওয়া হল বাল্য-গ্রন্থাবলী সিরিজ। তখন শিশুদের পড়বার মতো বই ছিল না। তিনি বললেন, ‘তুমি গল্প লেখো।' আমি ভয় পেলুম। কারণ ও-সব আমার আসে না। সে কথা অন্য লেখায় আগেই বলেছি। কিন্তু আপত্তি টিকল না। আমার ওপরে ভার পড়ল শকুন্তলা লেখবার। আমি লিখলুম শকুন্তলা’, ‘ক্ষীরের পুতুল’ আর রবিকাকা লিখলেন একখানি ছোটো কবিতার বই ‘নদী’– ওখান যে ছোটোদের জন্যে, ওতে লেখা নেই বটে, কিন্তু ওটা বালকদের জন্যেই লেখা। ছেলেদের জন্তে ওঁর ভাবনু বরাবরই ছিল— তার বাল্যকাল থেকেই। చిప్రి w Miss