আহত হইয়া সমভাবে সঙ্কুচিত হয়; তাহার ফলে কোন দিকেই নড়া হয় না। কিন্তু এক দিকের পেশী যদি ক্লোরোফরম দিয়া অসাড় করিয়া লওয়া যায় তাহা হইলে সাধারণ গাছের সাড়া দিবার শক্তিও সহজেই প্রমাণিত হয়।
জীব যখন আহত হয় ঠিক সেই মুহূর্ত্তে সাড়া দেয় না। ভেকের পায়ে চিমটি কাটিলে সাড়া পাইতে তার ন্যূনাধিক সেকেণ্ডের শত ভাগের এক ভাগ সময় লাগে। ইংরেজী ভাষ্যে এই সময়টুকু ‘লেটেণ্ট পিরিয়ড্’। ‘অননুভূতি সময়’ ইহার প্রতিশব্দরূপে ব্যবহৃত হইল।
বাহিরের অবস্থা অনুসারে অননুভূতি কালের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। মৃদু আঘাত অনুভব করিতে একটু সময় লাগে, কিন্তু প্রচণ্ড আঘাত অনুভব করিতে বেশী সময়ের অপব্যয় হয় না। আর যখন শীতে জীব আড়ষ্ট থাকে তাহার অনুভূতি কাল তখন দীর্ঘ হইয়া পড়ে। আমরা যখন ক্লান্ত হইয়া পড়ি তখনও অনুভূতি করিবার পূর্বকাল একান্ত দীর্ঘ হইয়া পড়ে, এমন কি সে সময়ে কখন কখন একেবারেই অনুভবশক্তি লোপ পায়। গাছের অনুভূতি সম্বন্ধে এই একই প্রথা। লজ্জাবতীর তাজা অবস্থায় অননুভূতি কাল সেকেণ্ডের শতাংশের ছয় ভাগ—