পাতা:অভাগী (তৃতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

→ड> পরদিন আমার হাতে পাঁচ-ছয়টা শক্ত রোগী ছিল ; সেই জন্য অতদিন অপেক্ষা একটু আগেই বো’র হতে হয়েছিল ; ফিরতে দেৱী হ’য়ে গিয়েছিল । আমি যখন বাড়ী ফিরলাম, তখন বেলা প্রায় দু’টো । মধ্যে মধ্যে এমন বিলম্ব আমার হয়েই পড়ে ; বাড়ীর কেউ সেজন্য ব্যস্ত হয় না । ডাক্তারেরা পরের স্বাস্থ্য-রক্ষার জন্ম খুব উপদেশ দিয়ে থাকেন ; যথাসময়ে স্নান-আহার, বিশ্রাম করা যে শরীর ভাল রাখবার জন্য বিশেষ দরকার, এ কথাও সর্ব্বদা বলেন ; কিন্তু নিজেদের বেলায় সে বিধান লঙ্ঘন ক’রে থাকেন ; তাদের স্নান-আহারের নির্দিষ্ট সময় নেই। অর্থ উপাৰ্জনের নেশায় যে ডাক্তারেরা এমন করেন, তাও অনেক ক্ষেত্রে ঠিক নয় ; রোগীর চিকিৎসার ভার নিলে সর্বপ্রযত্নে সে-কর্ত্তব্য পালন করতে হয় । এই কারণেই তারা নিজেদের শরীরের দিকে চাইলার অবকাশ পান না । কে জানে বেলা চারটে, বা রাত্রি একটা, রোগীর বাড়ী থেকে ডাকতে এলেই ডাক্তারকে ছুটতে হয়-এ তার কর্ত্তব্য কর্ম্ম । বিশেষতঃ, আমি রোগীর আহবানে স্থির থাকতে পারি নে। এখন যেতে পারব না, এমন কথা আমার মুখ দিয়ে বে’ল্প হ’তে চায় না। তাই আমাকে বোলা একটা-দু’টোর কমে প্রায়ই বাড়ী ফেরা হয় না, অবশ্য সে জন্য যে অর্থগমও বেশী হয়, এবং মনেও আনন্দ হয়, এ কথাও গোপন করতে পারি। নে ।