পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী নের বিধানমতে তাহার দুই বৎসরের কারাদণ্ডের দুই মাস কমিয়া গিয়াছে; সুতরাং আর দুই মাস পরেই দীনেশ কারামুক্ত হইবে। এতদিন সতীশ সুশীলার কথা লইয়া তাহার মাতার সহিত কোন আলোচনা করে নাই ; সুশীলার মাতাও একদিনের জন্যও মেয়ের নামও মুখে আনেন নাই । সতীশের আদেশ অনুসারে” বাড়ীর কেহই সুশীলার সম্বন্ধে কোন প্রসঙ্গ কখনও তাহার মায়ের সম্মুখে করে নাই। এখন দীনেশের কারামুক্তর সময় আসিয়া পড়িল ; এ সময় তাহাকে প্রকৃত কথা জানাইবার ইচ্ছা সতীশের হইল। তাই সে একদিন দীনেশের স্ত্রীকে ডাকিয়া নানা কথার পর ঐ কথা উত্থাপন করিল। দীনেশের স্ত্রী একেবারে সতীশের পরিবারভুক্ত হইয়া গিয়াছিলেন। সতীশ এবং তাহার স্ত্রী দীনেশের স্ত্রীকে বাড়ীর কত্রী করিয়া দিয়াছিলেন ; দীনেশের স্ত্রীকে তাহারা বড়-ভগিনীর মত শ্রদ্ধা ভক্তি করিত। দীনেশের স্ত্রী যে কায়স্থের কন্যা, এ কথা তাহারা কখনও মনে করিত না ; বাড়ীর ছেলেমেয়েরাও দীনেশের স্ত্রীকে “জেঠাই-মা” বলিয়াই ডাকিত। নিজের সুন্দর স্বভাবের গুণে দীনেশের স্ত্রী সকলকে আপনার জন RSv) ) • ,