পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী দিনের মধ্যে তিনি খালাস হবেন । সতীশ বাৰু এখানে এসে সুশীলার বাপের আসবার বন্দোবস্ত করতে পারবেন।” বড়দিদি বলিলেন “সুশীলার মাকে আমি যতদূর চিনতে পেরেছি, তাতে আমার মনে হয়, সে আসবে না । সে তেমন মেয়েই নয়। সেই কলকাতা থেকে যাবার দিন কি বলেছিল, মনে আছে ? তার পর এতদিনের মধ্যে কত চিঠি তার পেয়েছি ; কিন্তু কোনদিন সে মেয়ের নামটিও করে নাই । তিনকড়ি, সে কিছুতেই আসবে না।” তিনকড়ি বলিল, “এ হ’তেই পারে না । মায়ের প্রাণ এত কঠিন হ’তেই পারে না, বড়দিদি ! মেয়ে কুপথে গিয়েছে, মেয়ের ধর্ম্ম নষ্ট হয়েছে, তা স্বীকার করি ; কিন্তু তাই ব’লে কি মা কোন দিন মেয়ের উপর এমন নিৰ্দয় হ’তে পারে ? কিছুতেই না-কিছুতেই না।” বড়দিদি বলিলেন ‘তিনকড়ি, সুশীলার কাছে আমি সব কথা শুনেছি। তার ধর্ম্ম ঠিক আছে। সুধু ঠিক কেন বলি ; সে তার ধর্ম্মরক্ষার, তার সতীত্বরক্ষার জন্য যা করেছে, যে কষ্ট সহ করেছে, তা খুব কম স্ত্রীলোকেই পারে।” এই বলিয়া অতি সংক্ষেপে তিনি সুশীলার সমস্ত কথা তিনকড়িকে বলিলেন । [ રrર