পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী [ ৩৩ ] রেলগাড়ী সাজাহানপুর ষ্টেসনে পৌছিলেই সতীশের সহিস ও চাকর দৌড়িয়া গাড়ীর নিকট উপস্থিত হইল । প্রথমে সতীশ ও দীনেশ গাড়ী হইতে নামিল ; তাহার পর চাকর ও সহিংস গাড়ীর মধ্য হইতে জিনিষপত্র নামাইয়। কতক নিজের লইল এবং কতক দুইটা কুলীর মাথাষ তুলিয়া দিল । তাহারা তখন ষ্টেসনের বাহির হইয়া গাড়ীতে উঠিল । এই দুইদিন সতীশ দীনেশের কাছে অবিশ্রান্ত মিথ্যাকথা বলিয়া আসিযাছে । আর একটু পরেই সে মিথ্যাও শেষ হইয়া যাইবে, আর একটু পরেই দীনেশের সুখস্বপ্ন ভাঙ্গিয়া যাইবে । তখন দীনেশের অবস্থা কি হইবে, ইহা ভাবিয়াই সতীশের বুক কঁপিয়া উঠিল, তাহার মুখ শুকাইয়া যাইতে লাগিল। সে মনে মনে বলিতে লাগিল, “হায়ু ভগবান, হতভাগ্যের অদূদ্ষ্টে এত কষ্টও লিখেছিলে!” তাহার অজ্ঞাতসারে একটী দীর্ঘনিশ্বাস বাহির হইল । দীনেশ অন্ধকারে সতীশের মুখ দেখিতে পায় নাই ; কিন্তু [ ২৯৬