অভিজ্ঞান শকস্তল নাটক । , Nరి) শ্রেণী পরিভ্রমণ করত, গলিত পত্র সংলগ্ন কষায় রসে বিরস গিরিনদীর উষ্ণ ও কটু জল পান করি ; অনিয়ত সময়ে শুল্য মাংস রাশি ভোজন করিয়া, অশ্ব গজ সমূহের শব্দে অতি কষ্টে নিদ্রার আবির্ভাব হইলে,পুনঃ অতি প্রতুষেই বনপশু লুব্ধ ব্যধিদিগের কর্ণেপঘাতি বনগমন কোলাহলে জাগরিত হই, তথাচ এতাবৎ ব্যাপারও আমার সমূহ পীড়া জনক হয় নাই, কিন্তু ‘সম্প্রতি ত্রণোপরি বিস্ফোটক প্রায় সঙ্ঘটন হইয়াছে, কারণ রাজা আমাদিগকে পরিত্যাগ পূর্বক মৃগামুগামী হইয়৷ এক আশ্রম পদে প্রবেশ করিয়াছেন, তথায় শকুন্তলা নামী এক ঋষি কন্যা সন্দর্শনে বিমুগ্ধ হইয়া নগর গমনের কথাও কহেন না, ইহা চিন্তা করিতে করিতে প্রভাত পর্য্যন্ত আমার চক্ষু উন্মিলীত রহিয়াছে যদবধি তিনি কৃতদার না হইবেন তদবধি এস্থানে তাহাকে প্রেক্ষা করিয়া থাকিতে হইবে । ( পরে চতুর্দিক অবলোকন করিয়া ) এই যে প্রিয় বয়স্তা, ধনুঃ হস্তে লইয়া প্রিয়জনে চিন্তা করিতে করিতে বনপুষ্পমালা গলদেশে ধারণ পূর্বক এই দিকেই আগমন করিতেছেন; এইক্ষণে আমি অঙ্গ বিকল করিয়৷ থাকি তাহাতে আমার বিশ্রামও লাভ হইবেক ।
পাতা:অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক.djvu/৪০
অবয়ব