সপ্তম পরিচ্ছেদ 豊登 লাইতে হইত। আর কবিরাজও তিনি তেমনি ধরণের কাজেই এই নির্দিষ্ট বৃত্তি র্তাহার পক্ষে পরম মঙ্গলকর হইয়াছিল। রঘুনাথ বই ফেলিয়া কবিরাজ ডাকিতে দৌড়িল। সেদিন প্রথম ঘণ্টায় সে আর কলেজে উপস্থিত হইতে পারিল না । এইরূপে ক্রমশঃ “এটা কিনে এনে দাও,” “ওটা কিনে এনে দাও,” “একবার বাজারে যাও হে, আজ জনকতক ভদ্রলোক থাবেন, চাকররা ত পছন্দ করে আনতে পারবে না” প্রভৃতি হুকুম রুজু হইতে লাগিল । রঘুনাথ প্রমাদ গণিল । একে ত শারীরিক ও মানসিক ক্লেশ, তাহার উপর যে জন্য সে এত কষ্ট সহিতেছিল, সেই লেখাপড়া ৭ যখন বন্ধ হইবার উপক্রম হইল, তখন সে একেবারে হতাশ হইয়া পড়িল : কলিকাতায় তখন ছেলেধরার হুজুগ হইয়াছে। অয় ব্যঙ্গ বালক ও যুবককে সব ধরিয়া লইয়া যাইতেছে, সকলের মুখেই দুই একই কথা। কেহ বলে চা-বাগানে কুলির অভাব হইয়াছে হাই জোর করিয়া লোক ধরিয়া পঠাইতেছে। কেহ বলে, পদ্মার উপর বিরাট সেতু হইবে, সেখানে সহস্ৰ নরবলির প্রয়োজন। এইরূপ বহু প্রকার অদ্ভুত গুজবে নিম্নশ্রেণীর অধিবাসিগণ চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিলেন । মাঝে মাঝে সম্রান্ত বংশের কোন বালক বা যুবক উচ্ছঙ্খ","র্যন্ত্র হইয়া কিছুদিন নিরুদ্দেশ্য হইলে তাহাকে ছেলেধরায় লইয়া শিমুছে বলিয়া পুলিশে খবর দেওয়া হইতে লাগিল । রেল ষ্টেশন, ঈমারেত্ত্ব জেটি সর্ব্বত্র গােয়েন্দা ঘুরিতে লাগিল। হুজুগ ক্রমশঃ এতদুর বৃদ্ধি ঠাইল যে একটু রাত্রি হইলে লোকে রাস্তায় বাহির হইতে ইত স্ত্র গু, কািরত। নিরীহ পণ্ডিতমণ্ডলী প্রাইভেট টিউশনি করিয়া ফিরি৩ে বান্ত্রি ঠাইলে ছাতা খুলিয়া কঁধের উপর পিছন দিকে হেলাইয়া ধরিখে ন যাহাতে পিছন হইতে সহসা কেহ চোখ বাধিয়া ফেলিতে না পারে ।
পাতা:অভিমানিনী.djvu/৬৪
অবয়ব