পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক Mo সুমোবার জন্তে নয়। আমার সহযাত্রী কিছুক্ষণ বলে ছিলেন, তারপর আবার শুয়ে পড়লেন । ট্রেনের কামরার মধ্যে কোনো শব্দ নেই, শৰাই যুমুচ্চে, আমার নীরব উপভোগের বাধা জন্মায় এমন কোনো বিবাদী স্বর কানে আসে না, মনে হ’ল বহুকাল ধরে চেয়ে থাকলেও চোখ আমায় কখনো শ্রান্ত হয়ে উঠবে না, মন তার আনন্দকে হারাবে না । রাত্রের অন্ধকারে সে বিশাল বনভূমির দৃশ্য যে না দেখেচে, সে পৃথিবীকে অত্যন্ত মহিমময় একটি রূপে আদৌ প্রত্যক্ষ করেনি, তার শিক্ষা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। বিশালের অনুভূতি মনে জাগায় এমন যে-কোনো দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বক্তৃতার চেয়েও অনেক মূল্যবান জিনিস শিক্ষার দিক থেকে । আমাদের দেশের স্কুল-কলেজ এখনও এ বিষয়ে উদাসীন, নতুবা প্রত্যেক ছুটিতে ছেলেদের নিয়ে দেশ বেড়াবার ব্যবস্থা করতো, পয়সা খরচ করে যদি নাও হয়, পায়ে হেঁটে যতদূর হয় তাও তো 夺颈1〔可r5°忆西1 আমার এই দৃঢ় ধারণা, যে দেশভ্রমণ করেনি। প্রকৃতিকে বিভিন্নরূপে দেখেনি, কোথাও বা মোহন, কোথাও বা বিরাট, কোথাও রুক্ষ ও বর্বরাতার শিক্ষা সম্পূর্ণ হ’তে অনেক বাকি । আমার সহযাত্রী এই সময় ঘুম থেকে উঠে আমায় বললেন-কোন স্টেশন গেল ? আমি স্টেশনের নাম পড়িনি, তা জানালুম ! তিনি উঠে বসলেন। বাইরের অরণোর চেহারা দেখে বললেন-ও, এবার বিলাসপুরের কাছাকাছি এসে পড়েচি, এ সব সম্বলপুরের ফরেস্ট । --তাই নাকি ? আমি জানতুম না। চমৎকার দেখাচ্ছিল । -ঘুমোননি বুঝি ? বসে বসে দেখছিলেন নাকি ? --না, এই ঝারসুগুড়া থেকে একটু আমনি