পাতা:অভিযাত্রিক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযান্ত্রিক R R ) স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে সামনের পাহাডের একটা ফটো তুলে নিলেন। তারপর রেলপথের দুধারেই অপূর্ব দৃশ্য-জানাল থেকে চোখ ফেরাতে পারিনে । গৈলকেরা স্টেশনে বড় বড় পোপে গোটাকতক কেনা হয়েছিল-- কিরণ সেগুলো ছাড়িয়ে ভালো করে কেটে দিলে । বসস্তকাল, বনে বনে রক্তপলাশেব সমারোহ, সারেঙ্গ টানেলের মুখে ধাতুপ ফুলের বন, শালবনে কচি সবুজ পত্রের সম্ভার, প্রচুর সুযোলোক, বনের মাথাব্য ও পরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে বনের মধ্যে দিয়ে পার্বত্য নদী শীর্ণধারায় সর্পিল গতিতে বয়ে চলেচে, কোথাও একটা বড নির্জন পথ রেললাইনের দিক থেকে গভীর বনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল, কোথাও প্রকাণ্ড কোয়ার্তজ পাথরের পাতাড়িটা বনেব মধ্যে মাথা তুলে দাডিয়ে, কোথাও একটা অদ্ভুতদৰ্শন বিশাল শিলাখণ্ড বনের মধ্যে পড়ে আছেপ্রমোদ বাবু আর কিরণের খুশি দেখে কে । পরিমল বেচারী তো ফটো নেবাব জন্যে ছটু’ টু করচে, আর কেবল মুখে বলচে, ও: এইখানে যদি ট্রেনটা একটু দাড়াতে । ওখানে যদি ট্রেন একটু দাভাতো ! BB TttBD BBD BBtBOBDBDSSDBBBD DDD SDDDBSS qMKLD DDBD চা খেয়ে নিলাম । প্রমোদীবাবু টাইমটেবল দেখে বললেন-বিছানা বেঁধে ফেলুন সবাই, আর দুটো স্টেশন পরেই বেলপাহাড় । ওখানেই নামতে হবে । ইব বলে একটা ছোট স্টেশন ঘন বনেব মধ্যে । স্থানটায় বন্ড চমৎকার শোভা । স্টেশনের কাছেই একটা নদী, তার দুপারে ঘন বন, বনের মধ্যে রাঙা ধাতুপ ফুলের মেলা । একটা লোককে জিগ্যেস করে জানা গেল নদীর নাম ব্রাহ্মণী বা বামনী । বেলপাহাড় স্টেশনে নামবার আগে দেখি ছোট্ট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে