পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8○ অমরনাথ । তখন অমাব মায়েরও মত হতে পারে । এই ভেবে দুদিন তোমাব সঙ্গে পবামর্শ কোত্তে আসছিলেম, কিন্তু সেই দুদিনই ওঁকে আমাদের বাড়ীর বাইবে দেখে ফিরে গেলেম । ওঁর সামনে আসতে সাহস হল না, আপনার মনকে আপনি বিশ্বাস কোত্তে পাল্লেম না ! কিন্তু সে ফিবে যেতে আমার এমনি বোধ হল, যেন আমার প্রাণের বেশি ভাগটুকু ওইখেনে ছিড়ে থাকুল । নীল। সই! ধন্য মেয়ে বটে ভাই তুমি। অনেকে ঐটুকু না পেরে বিপদে পড়ে। যদিও আমি তোমাব চেয়ে বয়সে বড় বটে, কিন্তু তোমার এই সব গুণের গৌরবে আমি তোমার কাছে এলে যেন ছোট হযে যাই । কিন্তু সুসারও আবার এমনি মানুষ যে যদি এই প্রেমানলে ওর শরীরের এক এক খানি অস্থি এক এক দিন পুড়ে ওর প্রাণ যায়, তবু তোমার গাযে আঁচ লাগতে দেবে না । ঐ দেখ না তোমার জন্যে মোরে যাচ্ছে তবু পাছে তোমার কোন অহিত হয় বোলে, তোমাকে সে দিন ওখান থেকে যেতে বেtললে। চারু । আহা সত্যি ! সই ! মেয়ে মানুষের ভাল মন্দ এত দূব কেউ ভাবে না । আহা, আমার জন্যে র্তাবে কতই যাতনা সহ কোত্তে হোচ্ছে ! নীল । আমির ষে মালতী তলায় যাচ্ছি, সেখানে যদি মুসার এসে থাকে ? সে কিন্তু তাব মনের এই গত্তিক হওয়া পর্য্যন্ত সর্ব্বদাই প্রাতঃকালে ঐ খেনে এসে বোসে থাকে। তার একটা ভাববার জায়গা ঐ । চারু । যথার্থ ? নীল । এ সম্বন্ধে কোন কথা বিশ্বাস হয়েও হয় না । তা প্রথম প্রণয়ের সঙ্গে সন্দেহের ভাগই অধিক। যেমন পাহাড়ের ঝরনা থেকে প্রথম যখন সোণ ধরে আনে, তখন তার সঙ্গে বালীর ভাগই বেশি। এই বালীর রাশি যখন দূৰ হয়ে যাবে, তখন খাটি সোণ টুকু বেরবে।