পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর- ধাম । অপ্রস্তুত হইয়াছেন । সাহেব বলিয়াছিলেন “আমার একজন জানা লোক আছে।” এই সেই জানা লোক । এখন এই জানা ছোকরাকে অকর্ম্মণ্য বলিয়া প্রমাণ করিতে না পারিলে ত আর নিজের আত্মীয়টিকে আফিসে প্রবেশ করান হয় না । তিনি এই নিদারুণ চিন্তা-তাড়িত হইয়া বহুদিনের অনাদায় ৪ খানি বিল অমর কুমারের হাতে দিয়া বলিয়াছিলেন “তুমি ছেলে মানুষ এ সব কাজ কি পারলে ?” সেই চারি খানি বিলের দুইখানি আজই বাহির হইয়া, আজই টাকা আদায় করিয়া আনিল দেখিয়া, মথুর বাবু কিছু আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া মনে মনে বলিলেন ‘এর বাহাদুরী আছে, বোধ হয় কাজ কত্তে পারবে। তবুও দেখা যাক, কত দূর গড়ায়।” অমর কুমার ছয় মাসকাল সাহেব বাড়ীতে কাজ করিয়া, সাহেবের পরিবারে প্রতিষ্ঠা লাভ করিলেও, সেখানে অনেক গুলি শক্র সৃষ্টি করিয়াছে। সাহেবের ছয় মাসের বাজার হিসাবে ষে পরিমাণ টাকা অমৰু কুমারের হাতে ব্যয় হইয়াছে, তৎপূর্বে প্রত্যেক ছয় মাসে বেয়ারা থানসামার হাতে প্রায় তাহার দ্বিগুণ খরচ হইয়া আসিয়াছে। সাহেব ও মেমসাহেব এই কর্ম্মপটু বিশ্বাসী যুবকের হাতে টাকার সদ্ব্যবহার দেখিয়া এবং অনর্থক অর্থব্যয় হইতে আত্মরক্ষার সুযোগ পাইয়া, অমর কুমারের প্রতি অত্যন্ত অনুরক্ত হইয়া পড়িয়াছেন। অমর কুমার তাহা বুঝিতে পারিয়াছে, আর বেশ দশ টাকা উপার্জনের পথে বাধা পড়ায় বাবুরুচি, খানসামা, বেয়ারা ষে বিরূপ এবং অনিষ্ট করার চেষ্টায় আছে, তাহাও সে বুঝিতে পারিয়াছে। কিন্তু সাহেব কিংবা মেমূসাহেবকে সে, সে বিষয়ে কোন Y.