পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । নহে, তাই তিনি অন্তরে অন্তরে অমর কুমারের স্বপক্ষতা করিয়াও বাহিরে কঠোর তীব্র না হইয়া পারেন না । অমর কুমাদের নিকট এটা আঙ্গোপান্ত একটা বৃহৎ প্রহেলিকা হইয়া দাড়াইয়াছে। কার্ত্তিক বাবুক সঙ্গে লইয়া অমর কুমার বাসায় চলিয়া আসিলেন। শ্বশুর বাড়িতে বসিলন না । সেখানে অন্য কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া এবং কার্ত্তিক বাবুকেও বাড়ীতে এখন এ কথা প্রচার করিতে নিষেধ করিরা দিয়া, দুইজন পথে পরামর্শ করিতে করিতে আসিতেছেন । বাসার দ্বারে "আসি দেখেন, একজন মাড়ওয়ারী ও একজন ইহুদী বণিক অমর বাবুর জন্য অপেক্ষা করিতেছেন। কার্ত্তিক চক্ষুদ্র এই দুইজনকে দেখিয়াই বুঝিতে পারিয়াছেন, ইহারা ঐ জাহাজের ব্যাপারে জড়িত হইয়। আসিয়াছে। দুই জনেই অমর বাবুকে সেলাম ধর্মবিয়া নিজ নিজ প্রয়োক্তন স্বতন্ত্র ভাবে জ্ঞাপন করিল। মাড় ওয়ারী আসগামী কলা প্রাতঃকালে চল্লিশ৷ হাজার ও ইহুদী সাহেব পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যে ঐ ভুলো জাহাজ খরিদ করিতে প্রস্তুত আছে। অমর বাবু দুই জনকেই স্বতন্তু ভ’পে বলিয়া দিলেন যে, কল্য বেলা ১২টার সময়ে আফিসে এ বিষয়ের চূড়ান্ত মীমাংসা করিবেন । আজ আর এত রাত্রিতে এ বিষয়ে কোন কথা বার্ত্তা চলিবে না । যাইবার সময়ে মাড়ওষারী ও পাঞ্চাশ হাজার টাকার ইঙ্গিত করিয়া গেল। কার্ত্তিকচন্দ্র বলিলেন “হয়েছে, তোমার ভাবনা ঘুচেছে ? এই ত চারিদিক অন্ধকার দেখছিলে, যখন বিধাতা উপায় করেন, তখন এমনই ক’প্লেই হয়।” উভয়ে পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন, সাহেবের উপদেশে কাজ করিতে হইবে । S © ዓ