পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । বলিতেছে “ভাই! আমার কাজে বাধা দিলে, আর গান শুনাইব না, আমার কাঙ্গ আমাকেই করিতে লণ্ড, সন্ধ্যাবেল বেশ ভাল গান শুনাইব, আর আমার কাজে ভাগ বসাইলে, ভয়ানক রাগ কৰি, আর গান গাহিৰ ম|” । এইভাবে সেই প্রহরী পরিবেষ্টিত কারাগারের কয়েদীরা যখন এক এক করিয়া সকলে তাহার তৃপ্তি বিধানে তৎপর, তখন কাবাধাগ্য তাহাকে "ভদ্রলোক বলিয়া छेख्थङब কাজে নিযুক্ত করিতে চাহিলেন । অমরকুমার কারাধ্যক্ষকে বলিল, “মহােশর ! গানের সুরে কি কখনও কাজের সুর ফেরে ? আদালতে 'অপরাধ সাব্যস্ত হওয়াতে এই শ্মশান শাসনালয়ে পাঠাইয়াছে, যাহা করিতে বলিয়াছে তাঙ্গাই করিব । আপনি গানের গুণে দয়াধর্ম্ম না ফরিলেই ভাল হয়।” কাল্পাধ্যক্ষ সাহেব বলিলেন “কে কোন কাজ কাধিলে, “ভাল হয়, গে, ব্যবস্থা করিবার ভার আমার উপর দেওয়া । আছে, তাই আমি তােমাকে ঘানি থেকে নালির কাজে দিতেছি, - এটি আমার হুকুম, অকারণ অমান্য করে আমাকে অসুখী করিাৰে । কেন ? শুনিলে সুখী হবে ।” t কাজের এইরূপ অদল বদল হইলে পর, অমর কুমার সামান্য কিছু আরাম বোধ করিল। কিন্তু অপরাধীদের স্নেহমমতা, দয়া । দাক্ষিণো ও বিনয় সৌজন্যে অমর कूभाद्ध ७धछे शमाअश्नरक দেবালাঁ। বলিয়া অনুভব করিতে আরম্ভ কৰিয়াছে। বন্দীদল দলবদ্ধ হইয়া সময়ে অসময়ে তাহার গান শোনে, আর প্রাণ ভৱিষ্টা তাহাকে ভালবালে। ইতায় ও ভদ্রজাতীয় হিন্দু মুসলমান সাক্ষর ও নিরক্ষর সকল শ্রেণীর কয়েদীরা তাকে দেখিবা মাত্র আনন্দো দিশহারা হয় ।