. অমর প্রেম ১২১ অমর নীচু হইয়া লতিকাকে তুলিয়া ধরিল ও তাহার অনুরাগ ভরা চোখের পানে চাহিয়া বলিল, বাবা এতদিন পরে প্রসাচিত্তে বিয়েতে মত দিতেছেন। তাই আমি তোমাকে নিতে এসেছি। লতিকা আনন্দে সংজ্ঞাশূন্য হইয়া লুটাইয়া পড়িতেছিল। অমর তাহাকে বাহুপাশে ধরিয়া ফেলিল। অপরাহে অমর ও লতিকা পাশাপাশি বসিয়া কথা কহিতেছিল। বাহির হইতে লােকেন্দ্রবাবু হাকিলেন, ভিতরে আসতে পারি ? লতিকা তাড়াতাড়ি উঠিয়া দাঁড়াইল। লােকেন্দ্রবাৰু অমরকে দেখিয়া যেন অপ্রতিভ ভাবে বলিলেন, মাফ করবেন। আমি জানতাম না। আচ্ছা লতিকাদেবী, ইনিই কি তিনি যিনি আপনারই মত নিরুপায় ? অমর জিজ্ঞাসা করিল, আপনি কে—জিজ্ঞাসা করতে পারি কি? লােকেন্দ্র বলিলেন, খুব পারেন। আমি—ওসমান। তবে আমি মৃদ্ধ না করেই তিলােত্তমার দাবী ছেড়ে দিচ্ছি। অমর হাসিয়া ফেলিল। বলিল, বেশ তাহলে বসুন। লােকেন্দ্র হাসিমুখে বসিলেন। অমর লতিকার পানে চাহিয়া বলিল— তুমি একে চিন্তে পারনি ? লতিকা কিছু বুঝিতে না পারিয়া অসহায়ের মত চাহিয়া রহিল। অমর বুঝাইয়া বলিল—তুমি বাগীশের নাম শুনেছ ত? এই সেই বাগীশ। লােকে এর একেবারেই পােষাকী নাম ; এতদিন বাক্সে ভােলা ছিল। এর চিঠি পেয়েই তাে আমি আসছি। লােকেন্দ্র বলিল, ইনি তত আগের কথা জানেন না। এটুকু বললে উনি কি করে বুঝবেন? = 1