পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম এ দিকে গৃহকোণে সুহাসিনী হাতে কাজ করিতেছিল ও মনে মনে ভাবিতেছিল, চিরকালই তাহার কষ্টে গেল। যতদিন বৌ হইয়া শ্বশুরবাড়ীতে ছিল ততদিন রাঁধুনি ও ঝিয়ের মত দিবারাত্রি খাটিতে হইয়াছে, এখানে স্বাধীনভাবে থাকিয়াও দুঃখ ঘুচিল কই? মুন আনিতে পা ফুরায়—এ কোনদিনই ঘুচিল না। কথায় কথায় মুখে লাগিয়াই আছে, আমি কি আর বসে আছি, আমি কি দিন রাত্রি খাটছিনে। আর সেই বা কি বসে আছে। সমস্ত দিন রাত্রি আলাে নেই-বাতাস নেই– সব সময়ে ঘরের মধ্যে বন্ধ। আর ছেলেপুলের সঙ্গে বকিতে বকিতে প্রাণ অন্ত। কি সুখেই তাহাকে রাখিয়াছে। তার উপর—একটা কথা মুখের উপর আনিলেই রাগ। তাহাকে যেন দাসী বাদী রাখিয়াছে যে, মুখ বুজিয়া চিরটাকাল খাটিয়া যাইতে হইবে। একটা কিছু বলিলে সর্বনাশ। না খাইয়া রাগ দেখান হইল। তা দেখা—সেও রাগ করিতে জানে--ইত্যাদি ইত্যাদি। রাগের ঝেকে এক আধটা কথা মুখ দিয়া বাহির হইতেছিল। চোখ দি দুই গরি ফোটা জলও আসিয়া পড়িতেছিল। কিন্তু রাগের বশে চোখের জলকে সে আমলই দিতেছিল না। রাত্রি টা হইয়া গেল ; তখনও মনােহর ফিরিল না। লতিকা বলিল— মা, বাবা তো এখনও এলেন না। হলিণী ঝষের সহিত বলি-না এল তাে আমি কি কব ? আমি তাে এখন মার কাপড় বেঁধে তার খোঁজে যেতে পানিতে। খে এই বা বলিলেও মনে মনে সুহাসিনী উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিতেলি। লতি জিলা করিল রামুকে নিয়ে আমি একবার খুঁজতে যাব? | }