পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ অমর প্রেম গিয়াছে। তাহার দেহের শ্যামবর্ণ যেন কৃষ্ণের নবঘন খামে পরিণত হইয়াছে। দীর্ঘ বাহু ও সুকৃষ্ণ আয়ত চক্ষু-সেই শ্যাম মূর্তিকে বড়ই মনােহর করিয়া তুলিয়াছে। আরও দুই বৎসর পূর্বে অমর লতিকাকে দেখিয়া গিয়াছিল, কিন্তু আজ বাহাকে দেখিল সে লতিকার শান্ত মুর্তি-গৌরী শ্রী আর কোনদিন তাহার চক্ষে পড়ে নাই। এই সুমধুর প্রথম যৌবনের অপরূপ লাবণ্য সর্ব্বদেহে ভরিয়া, চক্ষে এক অপরূপ শ্যামাঞ্জন মাখিয়া বিহ্বল দৃষ্টিতে লতিকা আজ যেন প্রথম তাহার সম্মুখে দাঁড়াইল। দু’জনেই মুগ্ধ দৃষ্টিতে দু’জনকে দেখিল। এ দুর্লভ দৃষ্টি দিয়া নর ও নারী পরস্পরকে একবার মাত্র দেখিতে পায়, পরে সহস্র গুণে সুন্দর সুন্দরীকে দেখিলেও সে দৃষ্টি আর মিলে না। কিন্তু এক মুহূর্ত মাত্র। পরক্ষণে লতিকা বলিল-একি অমর-দা যে! এস! কবে এলে? অমরেরও চমক এতক্ষণে ভাঙ্গিল, বলিল, এখানে কাল এসেছি, তােমরা সব ভাল আছ ত? অমর উঠিয়া আসিল। রায়াঘরের ভিতর হইতে সুহাসিনী বলিল, কিরে তু! লতিকা বলিল, অয়-দা এসেছেন মা। সুহাসিনী বাহিরে আসিলেন, অমর প্রণাম করিল। সুহাসিনী কুশল এমদি করিয়া বলিল—আজকাল তত তুমি আর আস না বাবা—আগে কত আসতে। অমর বলিল, আমরা তাে বছর হই একেবারে বাড়ী আসতে পারিনি। নইলে এলে আমি আপনাদের কাছে না এসে যাইনে। এবার মােটে কাল স্যায় এসেছি। সকালবেলা স্যারের সঙ্গে দেখা হইয়াছিল তাই তখন আর সিনি। আর এখনও ফেরেন নি কী না ? ।